রাজনীতি

অক্টোবরে ২০০ আসনে সবুজ সংকেত দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

  এস এম রাফি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:১৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

আগামী অক্টোবর মাসে ২০০ আসনে চুড়ান্ত প্রার্থিদের ‘সবুজ সংকেত’ দিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকমান্ড সূত্র এ প্রতিবেদককে নাম প্রকাশ না করার সূত্রে জানায়, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তায় ১০০ আসন এবং শেষ সপ্তায় ১০০ আসনে চুড়ান্ত প্রার্থিদের মৌখিক ‘সবুজ সংকেত’ প্রদান করা হবে।

সূত্র মতে প্রতিটি আসনে ৫/৬ জন প্রার্থি প্রচারে রয়েছে।ফলে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।অনেক প্রার্থিই নিজেকে গ্রীন সিগন্যাল প্রাপ্ত প্রার্থি বলে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে রয়েছেন।

যেহেতু আগামী নির্বাচনটি হবে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও টিকে থাকার লড়াই।সেকারনে চুড়ান্ত প্রার্থিদের সবুজ সংকেত দিয়ে আগেই মাঠ গোছাতে বলা হবে।

একই সাথে প্রচারে থাকা অন্যান্য প্রার্থিদের দল মনোনীত প্রার্ধিদের হয়ে মাঠে কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করা হবে।যারা দলিয় নির্দেশ অমান্য করে প্রচারে থাকবে এবং কেউ যদি গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় দল তার জন্য সর্বকালের কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।

কোনভাবেই ষড়যন্ত্রকারিদের ছাড় দেওয়া হবে না এবার।কারন এবারের নির্বাচনটি হবে আ.লীগের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

দল মনোনীত প্রার্থিকে যে কোন মূল্যে পাস করাতে জনমত গঠন,ব্যাপক প্রচারণা,উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই বলে জানান সূত্রটি।

দল যাকেই মনোনয়ন প্রদান করুক, তার হয়ে কাজ করতে দলের সব ইউনিটকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সূত্রমতে আ,লীগ অনেক আগেই তিনটি জরিপের মাধ্যমে জনপ্রিয়,দূর্নীতিমুক্ত,গ্রহনযোগ্য,নির্লোভ,সৎ এবং প্রকৃত আ,লীগের মূলস্রোত থেকে সৃষ্টি প্রার্থিদের নির্বাচিত করে তালিকা প্রণয়ন করে রেখেছেন।এবারের প্রার্থি তালিকায় সেরা চমক থাকবে বলে জানা যায়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, একাদশ সংসদের এমপিদের মধ্য থেকে এবার জনপ্রিয়তা হারানোয়,রাজনীতিকে ব্যক্তি স্বার্থের হাতিয়ার করে যারা আখের গোছায়েছে,যাদের বিরুদ্ধে নিরব জনক্ষোভ রয়েছে,বিতর্কিত বিভাজন সৃষ্টিকারি সেই সব এমপিদেরকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

জানা যায়, বর্তমান সংসদের ১০৮ থেকে ১৪৩ জন এমপি এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।

সূত্রমতে, অক্টোবরে সবুজ সংকেত এবং নভেম্বরে ১০ তারিখের মধ্যে তপসীল ঘোষণার পর চুড়ান্ত প্রার্থিদের চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে তার আগেই মাঠ গোছাতে চুড়ান্ত প্রার্থিদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় পাঠাবে দলটি।

নভেম্বরে তপসীল ঘোষণার পর,যদি বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনে আসে তবে ১৪ দল নিজস্ব ব্যানারে নির্বাচন করবে ৩০০ আসনে।

আর যদি বিএনপি ও তার সহযাত্রিরা নির্বাচন বয়কট না করে তবে ৬০ থেকে ৭০ টি আসন ১৪ দলের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হবে।বাকি ৩০ আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থি দেবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করলে ১৪ দল যৌথভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।আর যদি বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনে না আসে তবে ১৪ দল নিজস্ব দলিয় ব্যানারে যার যার মত করে ৩০০ আসনে প্রার্থি দেবে।সেক্ষেত্রে আ,লীগ এককভাবেই ৩০০ আসনে প্রার্থি দেবে।