সারাদেশ

আ.লীগ সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতিক চেয়ে ডা. ফারুকের গণসংযোগ

  uadmin ১৪ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:২৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মাঠ পর্যায়ে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নেবেন জানিয়ে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছেন ডা. ফারুকুল ইসলাম ফারুক। প্রত্যন্ত সব এলাকায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মতবিনিময়ের মাধ্যমে নৌকা প্রতিকে ভোট চাচ্ছেন নৌকা প্রতিক মনোয়ন প্রত্যাশি এই প্রার্থি। তিনি চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

আওয়ামী ঘরনার সন্তান ডা. ফারুকুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও তিনি চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বড় ভাই সাজেদুল ইসলাম স্বপন চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৮৮ সালে ডা. ফারুকুল ইসলাম, ডা. লুৎফর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। শীত, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিনি তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চিলমারীসহ কুড়িগ্রাম জেলার একাধিক উপজেলায় চিকিৎসাসেবা, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিভিন্ন সহায়তা সামগ্রী ও শিক্ষা উপকরণসহ দুর্গত মানুষের পাশে এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি শরীফেরহাট মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন ভূলতাস্থ গাউছিয়া মার্কেটে অবস্থিত রূপগঞ্জে প্রথম বেসরকারী হাসপাতাল মেমোরি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্সের স্বত্ত্বাধিকারী। ২০০৯ সাল থেকে রূপগঞ্জ-আড়াইহাজারসহ আশেপাশের উপজেলাগুলোর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি চিলমারী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের একজন পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। বিভিন্ন সময় চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ দুস্থদের সহায়তা করে একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে এলাকায় স্বীকৃতি লাভ করেছেন। কর্মজীবনে ডা. ফারুকুল ইসলাম ছাত্তার জুট মিলস্ ও ব্রিটিশ বাংলাদেশ অক্সিজেন লি. এ মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

ডা. ফারুকুল ইসলামের প্রয়াত পিতা ডা. লুৎফর রহমান ১৯৬৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন। তার হাত ধরেই চিলমারীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সূচনা হয়েছিল। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এক বৎসর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছিল চিলমারী থানায়। ওই কমিটিতেও তিনি প্রথম কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

নৌকা প্রতিক মনোনয় প্রত্যাশি ডা. ফারুকুল ইসলাম ফারুক বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে কুড়িগ্রামে-৪ আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে চিলমারী উপজেলার রমনা, রাণীগঞ্জ, নয়ারহাট, থানাহাট, চিলমারী, অষ্টমীরচর, রাজিবপুর উপজেলা সদর, কোদালকাটি, মোহনগঞ্জ ও রৌমারী উপজেলার সবক‘টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছি। তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাল্লাহ।

এসময় তিনি শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য ভোটারদের দাঁড়ে দাঁড়ে ভোট প্রার্থণা করেছেন। তুলে ধরেছেন সারাদেশের উন্নয়নের চিত্র। চিলমারী-সুন্দরগঞ্জের হরিপুর রুটে তিস্তার উপর সেতু নির্মাণ, চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুসহ এলাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তুলে ধরেন সরকারের দেয়া বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ভাতার কথা।