বিবিধ

ইসরাইলি বিমান অবতরণের বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চায় দেশবাসী:সহকারি মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন

  uadmin ১৩ এপ্রিল ২০২৪ , ১০:৩৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সকলেই যখন প্রিয়জনদের সাথে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন ঠিক তখনই গোপনে ৭ ও ১১ এপ্রিল’২৪ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঢাকায় ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (যা তেল আভিভে অবস্থিত) হতে দুটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ বিসিএফ (সর্বোচ্চ ২৪,১১৫ কিউবিক ফিট/১০৮ মেট্রিক টন বেসামরিক/সামরিক মালামাল পরিবহনে সক্ষম) অজ্ঞাত কার্গো (পণ্য) সহ অবতরণের বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চায় দেশবাসী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ার কার্গো ইনঃ কর্পোঃ বা ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের পরিচালিত কার্গো বিমান গুলোর প্রথম ফ্লাইট N8806 (NCR806) তেল আভিভ থেকে ঢাকায় অবতরণ করে। উভয় ফ্লাইট সরাসরি তেল আভিভ থেকে ঢাকায় পৌঁছলেও ঢাকা ত্যাগ করার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বিমান বন্দরে অবতরণ করে। বিমান দুটি বাংলাদেশ থেকে কি নিয়ে শারজায় অবতরণ করেছে তাও সুস্পষ্ট নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোন রকমের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্বেও কেন বিমান দুটি অবতরণ করল তা দেশবাসীর সামনে রহস্যময়। সম্প্রতি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘ইসরায়েল রীতিমতো প্যালেস্টাইনে গণহত্যা চালাচ্ছে’, তিনি প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনাও করেন। তার কয়েকদিন পরেই দুটি বিমানের অবতরণ জনমনে উদ্যোগ উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা এবং বাংলাদেশ ইসরায়েল’কে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় একমাত্র জরুরী অবতরণ ব্যতিত ইসরায়েল থেকে পরিচালিত কোন ফ্লাইটের বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে অবতরণ একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা।

এ ঘটনা জারজ ইসরাইলের সাথে আওয়ামী সখ্যতার সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। বিরোধী মত ও দলকে নিঃশেষ করার জন্য নতুন কোন অস্ত্র কিংবা ডিভাইস আমদানি করা হচ্ছে কিনা তা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও এই ফ্লাইট দুটির বিষয়ে কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

অনতিবিলম্বে সরকার এ ঘটনার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে সরকার মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে সে জারজ ইসরাইলের একান্ত আস্থাভাজন সহযোগী।