বিবিধ

ঈদে নৌকায় বাড়তি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস

  চিলমারী প্রতিনিধি: ৮ জুন ২০২৪ , ৯:৫৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

Oplus_131072

প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে উত্তর বঙ্গের মানুষের ঘরে ফিরতে সহজ পথ হিসেবে কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নদী পথকে বেচে নেন লক্ষাধিক যাত্রী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নৌকার মাঝিদের ব্যবহার করে ভাড়া দ্বিগুণ আদায় করেন নৌকার মালিক পক্ষ।

অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি না হলে তাদের পারাপার করাতে অনিহা প্রকাশ করেন নৌকার মাঝিরা। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাত্রীদের ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী সময়ে নৌকা পারাপার হতে হয়।।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, চিলমারী নৌ বন্দরে যাত্রী পারাপার ও মালামাল পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগটি বরাবরই প্রতি ঈদে পেয়ে থাকি আমরা।

এটি যাতে না হয় এজন্য অগ্রিম ব্যবস্থা গ্রহন করছি। নৌ চলাচল সংশ্লিষ্ট সকলে নিয়ে আমরা নির্দেশনা প্রদান করেছি। কোন ধরনের হয়রানির শিকার যাতে না হন যাত্রীরা এজন্য প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হবে। অপরদিকে ছিনতাই, চুরি ডাকাতিসহ যাত্রীদের যান-মালের নিরাপত্তায় কাজ করবেন চিলমারী মডেল থানা পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম জানান, ঈদ যাত্রায় চিলমারীর রমনাঘাটে যাতে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, হয়রানি, হুমকির মত অন্যায় কাজ কেউ করতে না পারে সেজন্যে পুলিশ কাজ করে যাবে।

এছাড়াও যাত্রীদের যানমালের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ কাজ করবেন। এরপরেও যদি এধরনের সমস্যার সম্মুখীন যদি কোনো যাত্রী পড়েন তাহলে আমাদের অবগত করেন আমরা তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও রমনা ঘাটে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়ন থাকবে।

উল্লেখ্য ঈদ পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়, সাধারণ দিনের চিলমারী-রৌমারী রুটে জনপ্রতি যাত্রী পারাপারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা নেয়া হয়। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ঈদেও প্রায় সপ্তাহখানেক পর ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়া হয়।

এছাড়াও মোটরসাইকেল এর জন্য বাড়তি ২০০ নেয়া হয়। যার মধ্যে মোটরসাইকেল ওঠা নামা বাবদ ১০০ ও মোটরসাইকেল ভারা ১০০ টাকা নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। এতে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার বানিজ্য হয় এই সময় টিতে।