বিবিধ

ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে ১০০ রেল কোচ

  এস এম রাফি ৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:৫২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদে ঘরমুখো মানুষের কষ্ট লাঘবে রেলে যুক্ত হচ্ছে ১০০ কোচ। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে এই রেল কোচ। এরই মধ্যে ৭৫টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে পাকশি রেলওয়ে বিভাগ ও লালমনিরহাট বিভাগে। ১৮ এপ্রিলের মধ্যে বাকি কোচগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপ, সিএইচআর শপ, জিওএইচ ও উৎপাদন মেশিন শপ ঘুরে দেখা যায়, দম ফেলার সময় নেই শ্রমিকদের। পুরোনো ও ড্যামেজ কোচগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কেউ ব্যস্ত ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ মেরামতে, কেউ ব্যস্ত চাকা মেরামতে। সিট মেরামত করে বগিগুলোয় লাগানো হচ্ছে ফ্যান। পর্যাপ্ত জনবল ও কাঁচামালের অভাবে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও মানুষ যেন ঈদে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে সেই তাগিদে হাসিমুখেই কাজ করছেন শ্রমিকরা।

কাদের মোল্লাহ নামের এক শ্রমিক বলেন, আমাদের কাজের চাপ খুব। মাহে রমজানে অনেকের কাজের সময় কমলেও আমাদের বেড়েছে। মানুষ ঈদে এই কোচে চড়ে বাড়ি ফিরবে। আবদুল বারি নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, কারখানার বিভিন্ন শপে আমরা কাজ করছি। যে গতিতে কাজ করা হচ্ছে, তাতে ঈদ যাত্রার সময়ের আগেই ১০০টি বগি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

মেশিন অপারেটর সিহাব হোসেন বলেন, ঈদে মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরবেÑ এটাই আমাদের আনন্দ। আমাদের কাজ ইতোমধ্যেই ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সিএইচ আর শপের উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সোহেল রানা বলেন, ঈদ উপলক্ষে ১৭টি মিটার গেজ কোচ টার্গেট ছিল আমাদের। এর মধ্যে ১৪টি কোচ আউটটার্ন করে ডিভিশনে হস্তান্তর করেছি। বাকি ৩টি কোচও নির্ধারিত সময়ের আগেই হস্তান্তর করতে পারবো আশা করি।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপ ইনচার্জ মোকিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১০০টি কোচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরইমধ্যে ৭৫টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিটা আমরা ১৮ এপ্রিলের আগেই হস্তান্তর করার আশা রাখি।জনবলের অনেক সংকট রয়েছে। মোট ২৩ শতাংশ লোকবল আছে আমাদের। আর দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি।

জিএইচ শপের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা অল্প জনবল নিয়ে সকাল ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কাজ করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বগিগুলো দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন, রোজার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা একদিনও ছুটি কাটাইনি। তবে ঈদ সামনে রেখে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি- এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, রোজা থেকেও শ্রমিকরা উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন। ১৮ এপ্রিলের আগেই সবকটি কোচ তৈরি হবে বলে আশা রাখি।