চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ২:১২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের ৯ মাস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো শেষ করতে পারেনি নিমার্ণ কাজ। কাজের এমন ধীর গতিতে ক্ষুব্ধ মুসুল্লিরা। তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হয়ে মডেল মসজিদেও কার্যক্রম চালু হবে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এদিকে মডেল মসজিদের কাজ ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪সালে এসেও কাজ বাকি রয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে চিলমারীতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাজের জন্য রংপুরস্থ তারাগঞ্জ উপজেলাধীন ইকরচালী এলাকার মেসার্স সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয় ২০১৯ সালের ২মে তারিখে। যার চুক্তি মূল্য ছিল ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৯০ টাকা। চুক্তির তারিখ থেকে ১৮মাস মেয়াদ অর্থাৎ ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি মসজিদটির কাজ শেষ হয়নি।
এদিকে সারাদেশে চলমান মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র একযোগে ১৭এপ্রিল ২০২৩তারিখে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর দীর্ঘ ৯মাস পেরিয়ে গেলেও হস্থান্তর কিংবা মুসলিমদের নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি মসজিদটি। মডেল মসজিদের নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত ৪৮শতাংশ জমির ওপর নির্মাণাধীন মডেল মসজিদটি উদ্বোধনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কাজই শেষ হয়নি। চারজন টাইল্স মিস্ত্রী মসজিদের সামনে টাইল্স কাটার কাজ করছে। সামনে টিন দিয়ে বেরা দেয়া রয়েছে।সীমানা প্রাচীর, ভেতর ও বাইরের সৌন্দর্য বর্ধন, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনসহ অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। টাইল্স এর কাজ করা এক মিস্ত্রি জানায় আরো অন্তত ৪মাসের কাজ বাকি আছে।
পাশ্ববর্তী অস্থায়ী মসজিদের অনেক মুসল্লি জানায়, কাজের যে গতি তাতে এ বছরও মসজিদে নামাজ পড়া যাবে না মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন, অথচ কাজ চলমান। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে এমন প্রশ্ন অনেকের।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার মো. ফেরদৌস আলম বলেন, গোটা বাংলাদেশে সবগুলো মডেল মসজিদের প্রজেক্ট ১৮মাসের। কোন মডেল মসজিদই ১৮মাসে কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। বিভিন্ন সমস্যার কারনে কাজে বিলম্ব হয়েছে।
কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান বলেন, চিলমারী মডেল মসজিদের কাজ প্রায় শেষ। এমাসের শেষের দিকে হয়তো কাজটি হস্থান্তর করা হবে।
মডেল মসজিদের কাজ সমাপ্তে বিলম্ব হওয়ার প্রসঙ্গে ঠিকাদার আনিছুর রহমান লিটন জানান, মসজিদের জায়গায় গাছ এবং পুকুর থাকায় আমরা সাইড পেয়েছি প্রায় ২বছর পড়ে। তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়ার পরও যে আমরা ১৮ সালের রেটে কাজ করতে পারছি এটাই বড়। মসজিদের কাজ বিধায় আমি কাজটি শেষ করার চেষ্টা করছি। অনেক ঠিকাদার কাজ ফেলে পালিয়েছে। আশা করছি এ মাসেই কাজটি শেষ করে আসবো।
গণপূর্ত বিভাগ কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহির রাহয়ানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।