এম এ কাইয়ুম মাইজভান্ডারী, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:৫৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দীর্ঘদিন আশ্রয়দাতার বাড়ীতে আশ্রিতা হিসেবে বসবাসের পর চলাফেরা সন্দেহজন দেখে বাড়ি থেকে আশ্রয়দাতা আশ্রিতাদের চলে যেতে বলায় দোহারে একই পরিবারের পাঁচ জনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মুল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিপিসি- র্যাব-১০ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার একে এম কাউসার চৌধুরী।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকার দোহার উপজেলার ধৃতপুর গ্রামে শেখ জুলহাসের বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় তার বাড়ির আশ্রিত রুবেল শেখ(২১) ও রুবেল কয়েকজন সহযোগী। এতে শেখ জুলহাস (৫৩) ও তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম (৩৫) এই দম্পতির মেয়ে জান্নাত আক্তার (১৩) ও ছেলে জুনায়েদ হোসেন (৮) ও ভাতিজি তাবাসসুম আক্তার (১০) অগ্নিদগ্ধ হন দগ্ধ ব্যক্তিদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
একে এম কাউসার চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,রুবেল দীর্ঘদিন ধরে তার মাকে নিয়ে জুলহাসদের বাড়িতে আশ্রিতা হিসেবে বসবাস করে আসছিল। রুবেল অত্যান্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক ছিল, তার কথাবার্তা ও চালচলন জুলহাস উদ্দিনের কাছে অপছন্দ ও সন্দেহজনক হওয়ায় ঘটনার ১৩-১৪ দিন আগে রুবেলকে তাদের বাসা থেকে চলে যেতে বলে।এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রুবেল বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে জুলহাসের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় জুলহাসকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গত সেমবার জুলহাস ও তার পরিবারের সবাই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সে সময় রুবেল তার সহযোগীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জুলহাসের ঘরে তালা দেয়।সিরিঞ্জের মাধ্যমে ঘরের মেঝেতে প্রেট্টোল ছিটায়।ঘরে সবাইকে হত্যা করতে ঘরের বাহিরে ও ভেতরে আগুন জালিয়ে দেয়। এতে আহত পাঁচ জনের শরীরের ২০-৫০ ভাগ অগ্নিদগ্ধ হন। ঘটনার দিন দোহার থানায় মামলা হলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন ছিল রুবেল ও তার সহযোগীরা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতে রুবেল ও তার আরেক সহযোগী রানা মাহমুদ(২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার দোষ স্বীকার করে ঘটনার বর্ণানা দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত আছে । তাদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।