সারাদেশ

এক মাসের ব্যবধানে ৩ জায়গায় পিচিং ব্লকে ভাঙন, খোঁজ নেই পাউবোর

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ৯:২৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা বাঁধের ধারে ডাম্পিং করা জিও ব্যাগ ও ব্লক ভেঙে নদের গর্ভে চলে যাচ্ছে। বেশকয়েকটি জায়গায় এ ভাঙন দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারি নেই। এতে আতঙ্কে আছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ঘাটের দক্ষিণে জকরিটারী এলাকায় ব্লক পিছিংয়ের নিচে প্রায় দেড়শ মিটার জায়গা নদীতে ভেঙে যায়। দুই সপ্তাহ আগে তার উত্তরে আরও দেড়শ মিটার জায়গা ভাঙাসহ দুই স্থানে প্রায় ৩শ মিটার জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়।

অপরদিকে গত একমাস আগে উপজেলার রমনাঘাট (চিলমারী বন্দর) থেকে দক্ষিণে সোনারী পাড়া এলাকার দৌলা মিয়ার বাড়ী হতে টোনগ্রাম জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৪শ মিটার এলাকায় ডানতীর ব্লক পিচিংয়ের নিচে ডাম্পির করা ব্লকে ধস দেখা দিয়েছিল।

এক মাসের ব্যবধানে ৩ জায়গায় পিচিংব্লকে ভাঙন দেখা দেয়ায় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া নদী তীরবর্তির বাসিন্দারা।

ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর মজিদ, আ. আজিজ, মজির উদ্দিন, গয়ছুদ্দিন ও নাসির মাষ্টারসহ অনেকে জানান, দুই সপ্তাহ আগে একদিন রাত ২টার দিকে নদী ভাঙনের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ব্লকপিচিংসহ মাটি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। এখন দিনের বেলায় একইভাবে পাশ্বে আবার ভাঙন দেখা দেয়।

তারা জানান, ভাঙন দেখা দেয়ার ২সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এখনই এটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে চৈত্রি মাসের ঢলে ডানতীর ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন,ফকিরেরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ফকিরেরহাট এবং রমনা ঘাট দুই এলাকার ভাঙন সম্পর্কে জেলা সমন্বয় সভায় বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান কে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এস এম রাফি
কুড়িগ্রাম
০১৯৩০৪৮১৩৬৯
এক মাসের ব্যবধানে ৩ জায়গায় পিচিং ব্লকে ভাঙন, খোঁজ নেই পাউবোর

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা বাঁধের ধারে ডাম্পিং করা জিও ব্যাগ ও ব্লক ভেঙে নদের গর্ভে চলে যাচ্ছে। বেশকয়েকটি জায়গায় এ ভাঙন দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারি নেই। এতে আতঙ্কে আছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ঘাটের দক্ষিণে জকরিটারী এলাকায় ব্লক পিছিংয়ের নিচে প্রায় দেড়শ মিটার জায়গা নদীতে ভেঙে যায়। দুই সপ্তাহ আগে তার উত্তরে আরও দেড়শ মিটার জায়গা ভাঙাসহ দুই স্থানে প্রায় ৩শ মিটার জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়।

অপরদিকে গত একমাস আগে উপজেলার রমনাঘাট (চিলমারী বন্দর) থেকে দক্ষিণে সোনারী পাড়া এলাকার দৌলা মিয়ার বাড়ী হতে টোনগ্রাম জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৪শ মিটার এলাকায় ডানতীর ব্লক পিচিংয়ের নিচে ডাম্পির করা ব্লকে ধস দেখা দিয়েছিল।

এক মাসের ব্যবধানে ৩ জায়গায় পিচিংব্লকে ভাঙন দেখা দেয়ায় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া নদী তীরবর্তির বাসিন্দারা।

ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর মজিদ, আ. আজিজ, মজির উদ্দিন, গয়ছুদ্দিন ও নাসির মাষ্টারসহ অনেকে জানান, দুই সপ্তাহ আগে একদিন রাত ২টার দিকে নদী ভাঙনের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ব্লকপিচিংসহ মাটি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। এখন দিনের বেলায় একইভাবে পাশ্বে আবার ভাঙন দেখা দেয়।

তারা জানান, ভাঙন দেখা দেয়ার ২সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এখনই এটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে চৈত্রি মাসের ঢলে ডানতীর ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন,ফকিরেরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ফকিরেরহাট এবং রমনা ঘাট দুই এলাকার ভাঙন সম্পর্কে জেলা সমন্বয় সভায় বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান কে ফোনে পাওয়া যায়নি।