অনলাইন ডেস্ক ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:৩১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে এখন ফ্যান আছে। এখন আর শরীরে ঘামাচি হয় না, পাউডার কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের লেমুবাড়ী হাইস্কুল প্রাঙ্গণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ফ্যান আছে। এখন আর শরীরে ঘামাচি হয় না। আগে গরমে শরীরে ঘামাচি হতো। মিল্লাত পাউডার কিনতে হতো। এখন শরীরে ঘামাচি না হওয়ায় ওই পাউডার কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে।
কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, নৌকা মার্কায় কেন ভোট দিবেন? কারণ নৌকা মার্কা আওয়ামী লীগের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা মার্কা এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা। আর সেই মার্কাটাই আমাকে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই উন্নয়নমূলক কাজ করছি। আপনারা জানেন, আমাকে দিয়ে চাকরির নামে কোনো দিন টাকা খাওয়াইতে পারে নাই। আমাকে দিয়া দুই নাম্বারি করাইতে পারে নাই। আমাকে দিয়ে মানুষের হক আত্মসাৎ করাইতে পারে নাই। পারে নাই দেখে দুই চারজন আবার আমার ওপর বেজার হইছে। তাই আমাকে বাদ দিয়ে নতুন কোনো পয়সাওয়ালা আইন্যা তার পেছনে যাই তাহলে নগদ ক্যাশও পামু, দালালি বাটপারি কইরা পয়সা কামামু। এই ধান্দা করে একদল আমাদের মধ্য থেকে তাকে গ্রুপিং করে তারা ছুটে গেছে। আমি আপনাদের বলতে চাই, নৌকা মার্কা উন্নয়নের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা মার্কা সততার মার্কা। নৌকা মার্কা আমার ন্যায় নিষ্ঠা, সততা ও পরিশ্রমের মার্কা। তাই আপনারা নৌকার সঙ্গে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে বিশ বছর আগে এই এলাকাকে দুর্গম এলাকা বলা হতো। এখন কিন্তু অবহেলিত বলার কেউ নেই। কারণ প্রত্যেকটা ইউনিয়নের মোড়ে মোড়ে গেলে গ্রামের ভেতরে ঢুকলে দেখা যায়, সব জায়গা এখন শহরের মতো হয়ে গেছে। এখন কোনো জায়গায় আর গ্রাম খুঁজে পাওয়া যায় না। শহরে যেমন সবকিছু পাওয়া যায়, এখন গ্রামেও কিন্তু সবই পাওয়া যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু বলেছিলেন গ্রামকে শহর করা হবে। আজ কিন্তু আমরা তাই দেখতে পারছি।
জনসভায় হরিরামপুর, সিংগাইর ও সদরের তিনটি ইউনিয়নসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।