বিবিধ

ওমান হতে এলএনজি আমদানির দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর

  এস এম রাফি ১৯ জুন ২০২৩ , ১০:১৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ওমান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী অতিরিক্ত এলএনজি আমদানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং ওমানের পক্ষে ওকিউটি’র নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১০ বছর মেয়াদী ১.০ থেকে ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের সাথে ২০১৮ সালের ৬মে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে ওকিউটি বর্তমানে বছরে ১.০ এমটিপি (১৬ কার্গো) এলএনজি সরবরাহ করছে। নতুন চুক্তি অনুসারে ২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি, ২০২৭ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৬ কার্গো এলএনজি এবং ২০২৯ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কার্গো এলএনজি আসবে ৷

২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাতারের রাস গ্যাসের সাথে ১৫ বছর মেয়াদী (২০১৮-২০২৩) ১.৮-২.৫ এমটিপিএ এলএনজি এবং ২০২৩ এর ১ জুন কাতার এনার্জি ট্রেডিংয়ের সাথে ১৫ বছর মেয়াদী (২০২৬-২০৪০) দ্বিতীয় চুক্তিতে অতিরিক্ত ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বর্তমানে বিদ্যমান দু‘টি চুক্তির আওতায় ৩.৫-৪.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যমান দু‘টি টার্এমিনালের মাধ্যমে সহজেই ৬.৫ এমটিপিএ এলএনজি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সে হিসেবে আরও ২.৫-৩.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা যেতে পারে। এছাড়া মহেশখালিতে ৩য় টার্মিনাল আর পায়রায় চর্তুর্থ টার্মিনাল স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করেছে । গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য পিএসসিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি ওমান সহ সংশ্লিষ্টদের আগত পিএসসিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফ্ফার আলবুলুসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ওকিউটি র নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী বক্তব্য রাখেন।