এস এম রাফি ২৬ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকে পানি প্রবাহ কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। দিনভর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। দিনভর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও রাতে পুনরায় কমতে শুরু করে।
শনিবার দুপুর থেকে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। এতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তারাও মুক্ত হতে শুরু করেছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির বাদাম, সবজি ক্ষেত। পানির স্রোতে ভেসে গেছে মৎস্য চাষিদের স্বপ্ন। কয়েক শ পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্য চাষিরা।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, শুক্রবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করে তিস্তার পানি প্রবাহ। শনিবার সকাল থেকে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুরে নেমে যায়। এখন বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে বন্যা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।