এস এম রাফি ১০ আগস্ট ২০২৩ , ৬:১৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের হিলিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমে গেছে। কেজিপ্রতি প্রকারভেদে ৩ থেকে ৭ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা দরে।
ভারত থেকে বেশি পরিমাণ আমদানি হওয়ার কারণে কমেছে দাম, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমলেও ক্রেতা অনেকটাই কম। দাম কিছুটা কমাতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলেও ২০ টাকার পেঁয়াজ কেন ৩০ টাকা ওপরে, বিষয়টি প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন আমিনুল ইসলাম। তিনি একটি খাবার হোটেলের মালিক। আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার খাবার হোটেলে প্রতিদিন ১০ কেজির ওপরে পেঁয়াজ লাগে। প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে কাঁচামরিচ, আদা, রসুনসহ সব নিত্যপণ্যের দামই বেশি। খাবার হোটেল চালাতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যদি খাবারের দাম একটু বেশি নেওয়া হয় তখন ক্রেতারা তর্কজুড়ে দেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে হয়তো কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধি করতে সাহস পেতেন না।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৭ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা দরে। তবে আগের মতো ক্রেতা নেই বললেই চলে। আগে আমরা ৮ থেকে ১০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করতাম, এখন ৩ থেকে ৪ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
হিলি পানাম পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব কাঁচা পণ্য আমদানি হয়ে থাকে আমরা সেসব পণ্য আগে খালাস করার জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করে থাকি। ভারতীয় ট্রাক থেকে খালাস-পূর্বক ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সেই পণ্য সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসে ভারতীয় ২২১ ট্রাকে ৬ হাজার ৬৩২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।