বিবিধ

কাউনিয়ায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে এলাকাবাসী বহুবার আবেদন করেও কাজ হয়নি

  এস এম রাফি ১২ জুলাই ২০২৩ , ৭:২৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ-কাউনিয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতায় এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে পড়লেও এ যেন দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষের ভাব দেখে মনে হয় খাঁচায় বন্দি আফ্রিকার সিংহ। ভোক্তা অধিকার আইন ও পরিবেশ আইন থাকলেও কাউনিয়ায় এর বাস্তবায়ন নাই। এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার আবেদন নিবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। সরেজমিনে উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে বাসস্টান্ড পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পার্শে গরু, মহিশ, ছাগল, ভেড়া পরিবেশ সম্মত ভাবে জ্ববেহ না করা এবং বর্জ্য সঠিক ভাবে নিস্কাশন না করায় পশুর বর্জ্য ও রক্ত পচে দুর্গন্ধে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে হুমকিতে ফেলেছে। রাস্তার পাশ দিয়ে মানুষ হেঁটে যেতে এবং আশপাশের বাড়ি ঘরের লোক জন গন্ধে বমি করে ফেলে। এখানে প্রায় ২০/২৫টি পরিবার ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসসহ বেশ কয়েকটি অফিস রয়েছে। দুর্গন্ধে মানুষ অফিস গুলোতে ও বাড়ি ঘরে টিকতে পারে না। এখান থেকে কুকুর, কাক, পাখির মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নানা রোগজীবানু। এলাকায় অধিকাংশ লোক ডায়রিয়া আমাশয়সহ নানা জটিল রোগে ভুগছে। এলাকায় কসাইখানা না থাকায় মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছা মাফিক যেনতেন ভাবে পশু জ্ববেহ করছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগের লোকের উপস্থিতিতে পশু জ্ববেহ করার নিয়ম থাকলেও প্রাণী সম্পদ বিভাগ এ ব্যাপারে উদাসিন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ভাব দেখে মনে হয় খাঁচায় বন্দি আফ্রিকার সিংহ। দীর্ঘ দিন থেকে এলাকাবাসী জনশুন্য এলাকায় পরিবেশ বান্ধব পশু জ্ববেহ করার ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়ে আসলেও অদৃশ্য কারনে তা হচ্ছেনা। এলাকায় একটি স্লোটার হাউজ নির্মানের বিষয়ে উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক কে আহবায়ক করে বহুবছর আগে একটি কমিটি করা হলেও সেই কমিটি বিগত ১০ বছরেও তার বাস্তবায়ন করতে পারে নি। এলাকাবাসীর দাবী পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত পশু জ্ববাই এর স্থানটি পরিবর্তন করার। এ ব্যাপারে স্যানিটারী ইন্সপেক্টার আবু সাঈদ জানান, কসাইদের অনেক বলা হয়েছে তারা যেন পশুর বর্জ্যগুলো মাটিতে পুতে রাখে, তারা বলে কিন্তু করে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি উপস্থাপন করবো। আশা করি পরিষদ থেকে কসাইখানা নির্মাণ করা সম্ভব হবে।