জহির রায়হান, কাউনিয়া (রংপুর) ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ , ২:২৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কাউনিয়া উপজেলার শিক্ষিত বেকার যুবক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বেকারত্ব ঘোচাতে সরিষা, আলু, মরিচ,করলা সহ নানা ধরনের ফসল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তার পৈতৃক ৮ দোন জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। সেখানে দোন প্রতি খরচ হয়েছে ১৬শ’ টাকা ৮ দোনে মোট খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন ৫০ হাজার টাকা তার আয় হবে। তার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে দিগন্ত মাঠে জুড়ে তার সরিষার খেত। ফসলের মাঠ গুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে । শীতের হিমেল হাওয়ায় সরিষা ফুলের সুভাস ছড়িয়ে পড়ায় মধু সংগ্রহে আনাগোনা শুরু করেছে মৌমাছির দল। খেতে সরিষা ফুলের হলুদ আভা ছড়াচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্য। সরিষা ফুলের সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের হলুদ ভূমি। শীতকে উপেক্ষা করে সরিষা খেত পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেকার যুবক আবু হেনা মোস্তফা কামাল । তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন ভালো হবে। মাঘ মাসের শুরুতে ক্ষেত থেকে আগাম সরিষা তোলা শুরু হবে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন খরচ অনেক কম, ভাল দাম পাওয়ায় এবং খেত থেকে সরিষা তুলে ওই জমিতে ইরি বোরো ধান ও পাট চাষ করার সুযোগ থাকায় সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বিজলী প্লাস জাতের মরিচ চাষ করেছেন ২৪শতক জমিতে। এতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এখান থেকে দেড় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন । তিনি আরো জানান ৬৫ শতাংশ জমিতে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ঝুমকা ও মুনিয়া জাতের করলা চাষ করেছেন। এখান ৩ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন। উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের পুত্র বেকার যুবক মোস্তফা কামাল বলেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগে এম এ পাশ করে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী নামের সোনার হরিণের পেছনে ছুটেছি। টাকা পয়সা খালু,মামা,দুলাভাই ছাড়া চাকুরী হয়না। তাই চাকুরির পিছনে না ঘুরে সোনার মাটিতে সোনালী ফসল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন বলেন শিক্ষিত যুবকরা যখন কৃষি উদোক্তা হিসেবে চাষাবাদ শুরু করে তখন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভাল ফসল ফলানো সম্ভব হয়। কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষিত কৃষকরা লাভবান হবেন। আমরা শিক্ষিত ওই বেকার যুবক কে সরকারি প্রণোদনা প্রদান,পরামর্শ সহ সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করবো।