শিক্ষা

কারিকুলাম পুনর্বহাল দাবিতে রাবির আইবিএর শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  রাবি প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:৪৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

পুরাতন কারিকুলাম পুনর্বহালেত দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি)আইবিএর সাধারণ শিক্ষার্থীরা।সোমবার(১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে আইবিএ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত তাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি চলে ।

এর আগে আইবিএ এর ডিনস বরাবর তাদের দাবি দিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের মুল্যবান বক্তব্য পেশ করেন।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এই ইন্সটিটিউটের কারিকুলাম এবং পড়াশোনার মানবন্টন দেখে ভর্তি হয়েছি।তাছাড়া পুরাতন কারিকুলামে পড়াশোনা করে আমাদের বড় ভাইয়েরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়ে আসছে। এই কারিকুলামে কোনো সমস্যা না থাকা সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারিকুলাম পরিবর্তন করেছে।তিনি আরো বলেন নতুন কারিকুলামে আমাদের মিডটার্ম তুলে দেওয়া হয়েছে এবং সেমিস্টার সিস্টেম করা হয়েছে।আমরা সেমিস্টার সিস্টেম চাই নাহ।আমরা আমাদের ইন্সটিটিউটের স্বতন্ত্রতা নিয়ে থাকতে চাই।

আন্দোলনরত অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন,আমরা আজকে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।আপনারা জানেন আইবিএ কোনো ডিপার্টমেন্ট নয় এটি একটি ইন্সটিটিউট যেখানে ব্যবসা নিয়ে পড়ানো হয়।নতুন কারিকুলামে আমাদের ব্যবহারিকের প্রতি গুরুত্ব কম দেওয়া হয়েছে।সেই শিক্ষার্থী আরো বলেন আমাদের তুলনা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সাথে। আইবিএর সাথে আমরা কেন ডিপার্টমেন্টের সাথে তুলনা করে ৬ মাসে পরিক্ষা নিবো।বারোটি বছর ধরে একই কারিকুলাম চলে আসছে।এই কারিকুলামে কোনো ক্ষুত নেই।তিনি আরো বলেন আমরা কি গিনিপিক যে আমাদের উপর নতুন কারিকুলাম দিয়ে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হবে আমরা ভালো করবো না খারাপ করবো।আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের মেধাতালিকার টপ একশ এর মধ্যে থেকে আইবিএ তে ভর্তি হয়েছে। আমরা কোনো গিনিপিগ নই।আমরা আমাদের ক্যারিয়ারকে এইভাবে ভেসে যেতে দিতে পারি নাহ।পুরাতন কারিকুলামে কোনো ক্ষুত আমরা দেখতে পারছি নাহ বরং নতুন কারিকুলাম একশ এর বেশি ক্ষুত দেখাতে পারবো।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনরত অবস্থায় দেখে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আসাবুল হক এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবিরর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং দাবি-দাওয়াগুলো নজরে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু কতদিনের ভিতরে দাবিগুলো পূরণ করা যাবে তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্য থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করে।