এস এম রাফি ৪ জুলাই ২০২৩ , ৩:০৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
মাহাবুব হোসেন লিটু ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির নবগঠিত কমিটিতে ত্যাগীরা বঞ্চিত হওয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাইব্রিড ব্যক্তিদের জেলা কমিটিতে সর্বো”চ পদে পদায়ন করায় পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
জানা গেছে, ১১ অক্টোবর-২০১৮ইং সালে পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করেন। ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় পরবর্তীতে আবারো গত ২৮শে জুন-২০২৩ইং তারিখে পার্টির দপ্তর থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। যেখানে পুনরায় এ.কেএম মোস্তাজিুর রহমান মোস্তাককে আহবায়ক এবং মেজর (অব.) আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটিতে পার্টির ত্যাগী নেতা-কর্মী, সাবেক জেলা সদস্য সচিব, অনুমোদিত বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা কমিটির আহবায়ক, সভাপতি, সদস্য সচিব, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে কমিটিতে রাখা হয়নি। এমনকি কুড়িগ্রাম জেলার ৪টি আসনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত সম্ভাব্য আসন্ন জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতৃবৃন্দের নাম পর্যন্ত নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারমান ও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শের অধিকাংশ সৈনিকদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয় নাই।
কেন্দ্রীয় দপ্তরের প্রকাশিত অসঙ্গতিপূর্ণ নবগটিত কমিটি নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা জাপা নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ, অসন্তোষ ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মহুর্তে কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল সহ রাজপথে টানা কর্মসূচি দেয়ার পরি¯ি’তি তৈরি হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমান মাস্টার বলেন, ৪০ বছর থেকে জাতীয় পার্টি করে আসছি। দলের জন্য জেল-জুলুম মেনে নিয়েছি। কিন্তু নবগঠিত কমিটি আমাকে মূল্যায়ন করে নাই। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং পুনরায় কমিটি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব প্রবীণ নেতা এস.কে বাবু আহমেদ জানান, নবগঠিত কমিটির বর্তমান আহবায়ক কমিটির আহবায়ক বিগত কমিটিতে দায়িত্বকালীন সময়ে ৫ বছরে একবারও আমাদের খোঁজখবর রাখেন নাই। যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তাকে আমরা চিনি না। তিনি একজন হাইব্রিড নেতা। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে আমরা মর্মাহত। আমরা চাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক নবগঠিত কমিটি নিয়ে পর্যালোচনা পূর্বক ন্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির নবগঠিত কমিটির আহবায়ক এ.কেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি বিগত ৫ বছরে নানা কারণে সাংগাঠনিক কাজ গতিশীল করতে পারি নাই। এছাড়া কেন্দ্র যদি প্রয়োজনবোধ করে তাহলে পার্টির প্রয়োজনে নবগঠিত কমিটিতে ত্যাগীদের অন্তর্ভূক্ত করতে পারে।