- আরও
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ৯ জানুয়ারি ২০২৫ , ৩:৪৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামে হিমেল হাওয়া আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবনে স্থাবিরতা নেমে এসেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বিশেষ করে অতিদরিদ্র, ছিন্নমূল, শ্রমজীবী এবং নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পরিবর্তণের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। ভোরের কনকনে ঠাণ্ডায় কাজে যেতে পারছে না শ্রমজীবিরা। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারনের চেষ্টা করছে।
তিস্তা নদী বেষ্টিত উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চর গোড়াইপিয়ারের কৃষক গণি মিয়া (৪৬) বলেন, ‘চরের এত্তি (এদিকে) খুব ঠাণ্ডা। তাছাড়া আজ বাতাস আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এক সঙ্গে। সকালে কাজে আসতে খুব কষ্ট হয়, কিন্তু কিছু করার নেই। কাজ ছাড়া হামার পেট চলে না।’
কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলে ঠাণ্ডার প্রকোপটা একটু বেশি। এ ছাড়া গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর বাতাস। চরে দুই ঘণ্টা থাকলে হাত-পা বরফ হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক সূত্র জানায়, নয় উপজেলায় ১২ হাস পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, আরো পাঁচ হাজার পিস মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ (বুধবার)জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘ কেটে গেলে দু’একদিনের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
