জাতীয়

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু

  এস এম রাফি ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ , ৪:৩৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর)। এদিন দুপুর থেকে আবেদন শুরু হয়।

আবেদনের নির্দেশনায় টেলিটক জানিয়েছে, একটি রোল, ব্যাচ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে কেবলমাত্র একটি আবেদন করা যাবে। ফি জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনটি ড্রাফট হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।

আবেদন প্রক্রিয়ার যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থী লগআউট করতে পারেন। পুনরায় লগইন করে ড্রাফট আবেদনের অবশিষ্ট ধাপ সম্পন্ন করা যাবে। এই সময় ইতোমধ্যে পূরণ করা যেকোনো তথ্য পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংশোধন করতে পারবেন আবেদনকারী। এক্ষেত্রে দাখিলের পর প্রতিটি আবেদনের জন্য একটা স্বতন্ত্র ট্র্যাকিং নম্বর দেয়া হবে যা ব্যবহার করে ফি প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি প্রদান করলেই কেবলমাত্র আবেদনটি চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত একটি অ্যাপ্লিকেন্ট কপি পাবেন।

আবেদন-সংক্রান্ত কোনো সাহায্যের জন্য কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও ওপরের মেনু থেকে হেল্প লিংকে ক্লিক করে প্রার্থীর প্রশ্ন সাবমিট করতে পারেন।

চতুর্থ ধাপের শিক্ষক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৮ হাজার ৩৯০টি এমপিওভুক্ত বা প্যাটার্নভুক্ত অ্যান্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এসব পদের মধ্যে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের ৩১ হাজার ৫০৮টি পদ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি পদ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, ৬৮ হাজার ৩৯০টি শিক্ষক শূন্য পদের তালিকা এনটিআরসিএর (www.ntrca.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় প্রকাশ করা হয়।

আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারীর যোগ্যতা নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামে সেবা বক্সে ক্লিক করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে এবং তদনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে ওই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।

আবেদনকারীর বয়সসীমা

আবেদনকারীর বয়স নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি

একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পছন্দ করতে পারবেন। এরপরও কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দ বহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরমে প্রদর্শিত ‘আদার’ অপশন নামের বক্সে ইয়েস ক্লিক করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন তবে নো ক্লিক করতে হবে।

প্রতিষ্ঠান পছন্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলেছে এনটিআরসিএ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই যেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে বা ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে। বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে পরবর্তীতে বা ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ দেওয়া যাবে না।

আবেদন ও ফি জমার সময়

আবেদন ফির তারিখ ও সময় নিয়ে এনটিআরসিএ বলছে, অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ফি জমা দেওয়া শুরুর তারিখ ও সময় ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১২টা। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ও সময় ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা। ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে শুধু অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়া প্রার্থীরা ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।