মো. এমদাদুল হক, বগুড়া ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:০৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ঋণে জর্জরিত শ্বশুর ৫ লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিলেন বিদেশ ফেরত জামাইয়ের কাছ থেকে। দেননি জামাই তাই রাগান্বিত হয়ে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন।
সুযোগ বুঝে ডাকাতিও করেন, লুটে নেন টাকা সহ স্বর্নালংকার। বাবার বিরুদ্ধে এভাবেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন মেয়ে ফারজিয়া সুলতানা।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃস্নপুর (বটবেটিক) গ্রামে। এই ঘটনায় কৃস্নপুর (বটবেটিক) গ্রামের আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে (জামাই) এমরান হোসেন বাদী হয়ে শ্বশুর সহ ৩ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার পলিপালাস গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে (শ্যালক) সাকিব হোসেন, মৃত মোজাহার আলীর ছেলে (শশুর) ফেরদৌস রহমান এবং মৃত তালেব আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের কৃস্নপুর (বটবেটিক) গ্রামের আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে ইমরান হোসেন দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে দেশে ফিরেছেন।
এমতাবস্থায়, গত শনিবার (২১/১০/২০২৩) দুপুর ১২ টার সময় এমরান হোসেনের শশুর ও শ্যালকসহ ৩ জন এমরান হোসেনের বাড়িতে আসে। এমরান হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। এমরান হোসেনের স্ত্রী তার বাবা ও ভাইসহ ৩ জন কে ঘরে বসতে দিয়ে পাশের ঘরে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছিলেন।
এমন সময় এমরান হোসেন বাড়িতে আসেন এবং ঘরে ঢুকে দেখতে পান ওয়্যারড্রপ খুলে সেখানে রাখা ১লক্ষ টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্নালংকার বের করে নিচ্ছেন (শ্যালক) সাকিব হোসেন।
এমন সময় এমরান হোসেন তার স্ত্রীকে ডাকতেই (শশুর) ফেরদৌস হোসেন সহ ৩ জন মিলে (জামাই) এমরান হোসেনকে কিল ঘুষি মারাসহ গলা চেপে ধরে। ঘরের ভিতর মারপিটের শব্দ পেয়ে এমরানের স্ত্রী চিৎকার দিয়ে এগিয়ে আসলে মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন পাষন্ড পিতা এবং দ্রুত বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মটর সাইকেল যোগে ৩ জন পালিয়ে যান। সাথে নিয়ে যান নগত ১ লক্ষ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্নালংকার।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত (শশুর) ফেরদৌস রহমানের মেয়ে ফারজিয়া সুলতানা বলেন, আমার বাবা ফেরদৌস রহমানের লক্ষ লক্ষ টাকা ঋন। একদিকে পাওনাদারদের চাপ অন্যদিকে কিস্তির চাপ। এই পরিস্থিতিতে বিবেক শুন্য হয়ে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতেই ডাকাতি করেছেন। শুধু জামাইয়ের ১ লক্ষ টাকাই নেননি সেই সাথে বাবা হয়ে আমার ৩ ভরি স্বর্নালংকারও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি তাকে বার বার ফোন করে সেগুলো ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছি, কিন্তু আমার বাবা সেই অনুরোধ রাখেননি।
মামলার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।