এস এম রাফি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৫:০১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কাউনিয়া উপজেলার একমাত্র পৌরসভা হারাগাছ পৌর সভার গোল্ডেনের ঘাট। তিস্তা নদী বিধৌত এ জনপদের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। কিন্তু সেই বাঁশের সাঁকোটিও এখন নরবরে ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে । বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে দুই পারের হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,মরা তিস্তা নদীর উপর স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সেতু। কিন্তু দুই বছর আগে সেই সেতুটিও ভেঙ্গে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয় কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে এলাকার লোকজন টাকা তুলে আবারো বাঁশ দিয়ে তৈরি করেন বাঁশের সাঁকো। হাজারো মানুষের চলাচলের ফলে সেই সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নরবরে আর ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিরুপায় হয়ে চলাচল করছেন সাঁকোর দুই ধারের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে একটি পাকা সেতুর দাবি তুললেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে নানা সময় প্রতিশ্রুতি পেলেও আলোর মুখ দেখিনি সেতু। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। এতে যেকোনো সময় ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় আশঙ্কা করছেন পথচারীরা। স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, হরিণচড়া, বাশদেও এবং চর নাজিরদহ,চর পল্লীমারী, মিলনবাজার, হারাগাছ পৌরসভার টাংরিরবাজার, চরচতুরা, হকবাজার, ধুমগারা পাকার মাথা এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন গোল্ডেনের ঘাট বাশেঁর সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। মরা তিস্তা নদীর দুই ধারের মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সাঁকোটি। এছাড়া স্কুল ও কলেজগামী হাজারো শিক্ষার্থী এবং দুই পাশের সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন এই সাঁকো দিয়ে। হারাগাছ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমরা একটা পাকা সেতুর দাবি করে আসছি। কিন্তু নানা সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। ছাবেদ আলী নামের আরেক পথচারী বলেন, বাশেঁর সাঁকোতে উঠলে বুক ধকধক করে কখন যে ভেঙ্গে পরবে সেই ভয়। এতোদিন ধরে ব্রীজ করে দিবে বলে ভোট নেয় আর ভোট শেষ হইলে আর খোঁজ নেয় না। এ ব্যাপারে হারাগাছ পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মর্তুজা এলাহী বলেন, গোল্ডেনের ঘাটে একটি পাকা সেতুর জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের জন্য নাম অর্ন্তভুক্তের জন্য প্রেরণ করেছি। ইতোমধ্যে সার্ভে এবং মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে আশা করছি এই অর্থ বছরেই সেতুর কাজ শুরু হবে।