এস এম রাফি ১০ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রেললাইন ভাঙ্গা থেকে যশোরে সংযোগ হবে, যশোর থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত সংযোগ হচ্ছে।
আরেকটি প্রকল্প আমাদের মাথায় আছে, অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করেছি, সেটা হচ্ছে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী হয়ে একেবারে পায়রা পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা আছে, ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে।
তবে এটা কঠিন কাজ, আমাদের মাটির সক্ষমতা একটু কম। তবুও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।
আমাদের লক্ষ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পরে মাওয়া প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। এ বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
বাঙালি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আজকে যারা ভোটের কথা বলে, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই এদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।
আর যারা নির্বাচনের ধুয়া তোলে আর প্রতিদিন আমাদের ক্ষমতা থেকে হটায়, তারা কখনও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠা হয়েছে অবৈধভাবে এবং ভোট চুরি করা ছাড়া কোনো দিন ক্ষমতায় আসেনি।
এ কারণে ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় ভোট ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল। তার পর থেকে তারা নির্বাচন বয়কট ও নির্বাচন নিয়ে খেলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করা, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা এ ধ্বংসযজ্ঞেই তারা মেতে আছে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে আমি আহ্বান করবো, বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, বাংলাদেশ জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাবে, মাথা তুলে দাঁড়াবে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি আমরা গড়ে তুলবো, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
মাওয়া প্রান্তে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেনাপ্রধান জেনারেল শেখ মো. শফিউদ্দিন আহমেদ এবং সচিব হুমায়ুন কবির।