রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৬:৪১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সারাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মোট ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে ৬ষ্ঠ ধাপে ৫০ টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মডেল মসজিদকে উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে একযোগে ৫০টি নির্মিত মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এলাকার মুসুল্লি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্বেগ প্রকাশে জানা যায়, বাংলাদেশ সকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলমানদের জন্য সুন্দর পরিবেশ গঠনে সারাদেশের ন্যায় রৌমারী উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মান করার ব্যবস্থা করেছেন। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর থেকে পুরাতন মসজিদটি ভেঙ্গে নতুন করে মডেল মসজিদ নির্মানে গত ৯ মাস আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে উদ্বোধন দেখানো হলেও ঠিকাদারের অবহেলায় অধ্যাবধি নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মাণে ১২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মান কাজ শেষ না করার ফলে অত্র উপজেলায় ইসলামী সাংস্কৃতিক চর্চা, প্রচার ও জ্ঞানার্জনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করাসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজের ব্যাঘাত ঘটছে। সাধারণ মানুষ ও এলাকার মুসুল্লি, সুধিজন ও ইসলামিক প্রীয় মানুষজন ঠিকাদারের অবহেলায় দুষছেন। তারা আরোও বলেন, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ভাই বলে কথা কাজের এমন গতি ঠিকাদার মসজিদের কাজ বাদ রেখে আতœগোপন। মডেল মসজিদের মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়নি। তবে সাব-ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান রবিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য যে মসজিদ নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার কওে কাজ করা হয় এনিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রতিষ্ঠান নির্মানের গণপূর্ত বিভাগ কুড়িগ্রাম সাব এসিষ্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হাসিব উদ্দিন বলেন, ভেরিয়েশনের জন্য আপাতত কাজটি বন্ধ রয়েছে। তবে সাব ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকায় ভেরিয়েশন মালামাল আনতে গিয়েছে। মালামাল গুলি আসলেই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এখানে এসেছি। কোন কিছু এখনো বুঝে উঠতে পারি নি। তবে কাজটির বিষয়ে আপনারা একটু উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের নিকট জেনে নিন।