এস এম রাফি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:৩০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তসফিল ঘোষণা করা হবে।
আর এরপর থেকে মূলত দেশে একটি নির্বাচনী আবহ তৈরি হবে বা দেশ নির্বাচনের অভিমুখে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে। সে হিসেবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বাকি আছে এক মাসেরও কম সময়।
এদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। যেহেতু নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে তাই চূড়ান্ত আন্দোলনের সময় হিসেবে অক্টোবরকেই শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছে বিএনপি। যদিও বিএনপি গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিভিন্ন ধরনের ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তবে এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনেরই সুফল তারা ঘরে তুলতে পারেনি। তবে এবার অক্টোবরকেই শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছে বিএনপি। এরই মধ্যে বিএনপি বছর ব্যাপী বিভিন্ন বিক্ষোভ মিছিল, সভা সমাবেশে, মহাসমাবেশ, পদযাত্রা এবং সবশের্ষ রোডমার্চের মতো একাধিক কর্মসূচি করেছে।
তবে এসমস্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলটি সরকারের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছে সেটি একটি বিতর্কের বিষয়। কারণ এরই মধ্যে সরকারকে একাধিকবার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার বিএনপির পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
যদিও বিএনপির নেতারা সরকারের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করার দাবি করছেন। এখন এ সমস্ত কর্মসূচির ধারাবাহিকতা হিসেবে তারা চূড়ান্ত কর্মসূচি হিসেবে অসহযোগ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে।
আর এমন ভাবনা থেকেই দলটি ৯ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। যদিও বিএনপির এই আন্দোলকে মোটেও পাত্তা দিতে চাইছে না আওয়ামী লীগ।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অক্টোবরেই তারা চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে। আর এই পরিকল্পনা থেকেই তারা অসহযোগ আন্দোলনের কথা ভাবছে।
বিএনপির নেতারা বরছেন, মূলত ঢাকাকেই ঘিরেই তারা অসহযোগ আন্দোলনের কথা ভাবছে। যেকোনো মূল্যে তারা ঢাকা দখল করতে চায়। ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এর মধ্য দিয়ে সারাদেশকে অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপি।