এস এম রাফি ৯ মার্চ ২০২৩ , ১১:৫২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনার তালতলীতে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি ও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আমুড়িয়া গ্রামে এবং পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তালতলী প্রতিনিধি জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে কর্মরত শ্রমিকদের শোরগোল শোনা যায়। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করে।
তালতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। এতে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে তালতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আগ্নিকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আমুড়িয়া গ্রামে বুধবার (৯ মার্চ) রাতে অগ্নিকাণ্ডে রবিউল ইসলাম, আঞ্জুমান আরা, আরব আলী ও জিয়ারুল ইসলাম নামে তিন কৃষকের চারটি ঘর পুড়ে গেছে। তবে ভাঙা সেতুর কারণে সময় মতো ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছতে পারেনি। এতে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রবিউল ইসলাম ও জিয়ারুল ইসলাম জানান, রাত ১টার দিকে গোয়াল ঘরে মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে রবিউল ইসলামের একটি গরু ও একটি ছাগল মারা গেছে।
কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম টিপু জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আমুড়িয়া বাজারের উত্তর পাশে ছিল। কিন্তু নির্মাণাধীন সেতুর পাশে প্রয়োজনীয় ডাইভারশন রোড না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে যেতে পারেননি।
দুমকি প্রতিনিধি জানান, বুধবার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে থানা ব্রিজের খায়রুল ইসলামের জেএস ফাস্টফুড চাইনিজ রেস্তোরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার ও ফ্রিজের কম্প্রেসার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। উপস্থিত জনতা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। দুমকিতে ফায়ার স্টেশন না থাকায় পটুয়াখালী থেকে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রেস্তোরাঁ মালিক খাইরুল ইসলাম জানান, ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার। আগুনে তার সব শেষ হয়ে গেছে।
স্থানীয় পিরতলা বণিক সমিতির সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, প্রতি বছর এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। দুমকিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি।