এস এম রাফি ২৯ অক্টোবর ২০২৩ , ২:৩৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী-রৌমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল। চলাচল বন্ধ করা হয়েছে ফেরি কুঞ্জলতাও। এ নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে দঁাড়িয়ে রয়েছে পণ্যবাহী পরিবহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালকসহ যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রহ্মপুত্রে নাব্যতা সংকটের কারণে ‘বেগম সুফিয়া কামাল’ নামের ফেরিটি রমনা ঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ৬টার দিকে রমনা ফেরি ঘাট থেকে আরিচা ঘাটের উদ্দ্যেশে সরিয়ে নেওয়া হয় ফেরিটি। শনিবার বিকেল থেকে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি কুঞ্জলতাও। তবে ব্রহ্মপুত্রে খনন কাজ চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের নৌরুটে যোগাযোগ বাড়ানো ও চিলমারী নৌবন্দরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরেয়ে আনতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু এবং বন্দরের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকটের কারণ দেখিয়ে রমনা ঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামালকে’। এছাড়াও চলাচল বন্ধ করা হয়েছে ‘কুঞ্জলতা’ নামে ফেরিটিও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা। তবে অভিযোগ উঠেছে, কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও গাফিলতির কারণে একমাস ৯দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে ফেরি চলাচল।
বিআইডব্লিউটিসির বাণিজ্য ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্যতা সংকট ও রৌমারী ফেরি ঘাট দেবে যাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যমুনা সেতুতে রেল লাইন বসানো হলে ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামাল আরিচা ঘাটে যেতে পারবে না বিবেচনা করে ফেরিটি সরানো হয়েছে। ফেরি কুঞ্জলতাও বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, রৌমারী ফেরি ঘাট দেবে যাওয়ার কারণে শনিবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিকল্প ঘাট না দিলে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএর চিলমারী নৌবন্দরের প্রধান চালক মাহবুবুর রহমান জানান, ‘বেগম সুফিয়া কামাল’ নামের ফেরিটি বড় হওয়ায় চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছিল। এ কারণে আরিচা ঘাটে পাঠানো হয়েছে ফেরিটি। ব্রহ্মপুত্রের খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে ফেরি বেগম সুফিয়া কামালের পরিবর্তে ‘কদম’ নামের আরেকটি ছোট ফেরি আরিচা ঘাট থেকে রওনা দিয়েছে। এদিকে রৌমারী ঘাটে পল্টুন দেবে যাওয়ায় আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে (আজ) রোববারের মধ্যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।