অনলাইন ডেস্ক ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:১১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
নামাজের একটি ফরজ আমল কেরাত বা কুরআন তেলাওয়াত। কিছু নামাজে কুরআন তিলাওয়াত উচ্চৈস্বরে করা করা সুন্নত, কিছু নামাজে নিম্নস্বরে করা সুন্নত বা ওয়াজিব।
যে নামাজগুলোতে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়, সেগুলোতে সুরা কেরাত এ পরিমাণ আওয়াজে পাঠ করা উত্তম যেন কেরাতের আওয়াজ নামাজির নিজের কানে পৌঁছে। তবে পাশের মুসল্লি পর্যন্ত যেন আওয়াজ না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেউ যদি ঠোঁট নাড়িয়ে একেবারে নিচু আওয়াজে হরফের মাখরাজ যথাযথভাবে আদায় করে পড়ে, তাহলেও তার নামায আদায় হয়ে যাবে।
ফজর, জুমা, দুই ঈদের নামাজ, তারাবিহ, রমজান মাসের বেতর নামাজ এবং মাগবির ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে ইমামের জন্য জোরে কেরাত পড়া সুন্নত। মুক্তাদি অর্থাৎ ইমামের পেছনে নামাজ আদায়কারীরা এ সব নামাজে চুপ থেকে ইমামের কেরাত শুনবেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত অনুযায়ী মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারীর জন্যও ফজর এবং মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া সুন্নাত। তবে নিম্নস্বরে কেরাত পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। নবিজির স্ত্রী আয়েশাকে (রা.) প্রশ্ন করা হয়েছিল, নবিজি রাতের নামাজে উচ্চৈস্বরে কুরআন পড়তেন না নিম্নস্বরে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন কখনও উচ্চৈস্বরে পড়তেন, কখনও নিম্নস্বরে। (মুসনাদে আহমদ)
জোহর ও আসরের নামাজে ইমাম ও একা নামাজ আদায়কারী নিম্নস্বরে কেরাত পড়বেন। মুক্তাদি কেরাত পড়লে নিম্নস্বরেই পড়বেন তা বলাবাহুল্য। বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী এ দুই ওয়াক্ত নামাজে নিম্নস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। কেউ ভুল করে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে।