এস এম রাফি ৩ মার্চ ২০২৩ , ১১:০০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পঞ্চম বারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া পণ্ডিত বইমেলা তৃতীয় দিনে জমে উঠতে শুরু করেছে।
৩য় দিনে বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্টল গুলোতে বাড়তে শুরু করে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবার- পরিজনদের সঙ্গে প্রাণের বইমেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের আগমনে ফিরেছে উচ্ছ্বাস।
যদিও বিক্রেতারা বলছেন, এখনও মেলায় বই বিক্রি ভালোভাবে শুরু হয়নি। এখন ক্রেতার চেয়ে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা বেশি। গত কয়েক বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে লেখক, দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। তবে এবার বিক্রিও বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সরজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই এসেছেন দলবেঁধে, কেউ কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ আবার পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মেলায়। ছিল শিশু, কিশোর-কিশোরীর সরব উপস্থিতিও। মেলায় আগতরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন নিজের প্রিয় লেখকসহ অন্য লেখকদের নতুন বই। মাঝেমধ্যে কিনছেন বইও।
দেখা গেছে, বড়দের পাশাপাশি এদিন মেলায় এসেছে ছোটরা। শিশুপ্রহরে সময় কাটাতে পরিবারের সঙ্গে মেলায় এসেছে তারা। তবে বই কেনার চেয়ে স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখার প্রতিই সবাই মনোযোগী একটু বেশি। মূলত ছুটির দিন হওয়ায় ঘুরতে এসেছেন বেশির ভাগই।
এদিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনায় বেশ খুশি স্টল মালিকরা। তারা বলছেন, শুক্রবার মেলায় জনসমাগম বেশ ভালো। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন। সংখ্যায় কম হলেও বই কিনছেন অনেকেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
আশার কথা উল্লেখ করে আগামী প্রকাশনীর স্টলের দায়িত্বে থাকা এস এম রাফি ও রকি বলছেন, গত দুই দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। মাত্র তো মেলা শুরু, আশা করছি দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বাড়বে।
এদিকে একাধিক স্টল ঘুরে দর্শনার্থীদের অনেকেই মাঝেমধ্যে মেলার মধ্যে সাজিয়ে রাখা বেঞ্চ বা চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।