সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টার ৭ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের একটি বড় অংশ প্রথম এবং তরুণ ভোটার।
প্রার্থী ও দলগুলোর প্রধান টার্গেটও তারাই। নতুন ভোটার হওয়া তরুণদের আড্ডায় এখন আলোচনার বিষয় নির্বাচন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ফ্যাক্টর হবে তরুণদের ভোট। প্রথমবার ভোট দেওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত তরুণ ভোটাররাও।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ভোটার।
আর বর্তমানে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৪। অর্থাৎ মোট ভোটারের অর্ধেক ভোটারই তরুণ।
নির্বাচনে তরুণদের সমর্থন পেতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের ইশতেহার সাজিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আর ৫ বছরে ২ লাখ যুবকের মাঝে ৭৫০ কোটি টাকা যুবঋণ বিতরণের পাশাপাশি ২ লাখ ৫০ হাজার যুবককে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
জাতীয় পার্টি তাদের ইশতেহারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা তরুণ-তরুণীদের জন্য বেকার ভাতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আছে নারীদের জন্য অবৈতনিক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার।
আর তরুণদের ভোট টানতে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার পাশাপাশি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি, বেকার ভাতা ও জামানতবিহীন ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।