সারাদেশ

প্রতিশ্রুতি ও মাপজোকেই শেষ, সেতুর অভাবে পারাপারে দুর্ভোগ

  এস এম রাফি ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মালদহ নদীর মহিষতুলি এলাকায় সেতু তৈরি করার জন্য বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন একাধিক রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি। গত কয়েক বছরে একাধিকবার মাপযোগ ও মাটি পরীক্ষা করে গেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীরা। কিন্তু এখনো সেখানে সেতু তৈরির দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

মহিষতুলি এলাকায় মালদহ নদীতে একটি সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীসহ তিন ইউনিয়নের ৫-৭টি গ্রামের মানুষেরা পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মহিষতুলি এলাকায় মালদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে চলাচলে সুবিধার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিরও উন্নতি হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি, ফলিমারী, দুলালী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর, উত্তর গোবধা, শঠিবাড়ী এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচী এলাকার মানুষ মালদা নদীর মহিষতুলি দিয়ে পারে হয়ে নিয়মিত চলাচল করেন। সেখানে সেতু না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

দুলালীর বাসিন্দা জেলে খোরশেদ আলম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলজিইডির লোকজন এসে মাটি পরিক্ষা ও মাপামাপি করে গেছে, কিন্তু ফলাফল শূন্য।

লোহাকুচী থেকে সঠিবাড়ী যাতায়াত করা রহমত বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু নদীতে সেতু না থাকায় অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। নদী পার হতে না চাইলে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।’

সঠিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, নদীর একপাশে দুটি বিদ্যালয় ও অপর পাশে মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ এই পথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুটি নির্মাণ হলে তাদের দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

এদিকে এলাকাবাসীল ভোগান্তি নিরসনে মহিষতুলিতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সম্প্রতি সুপারিশপত্র দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

সুপারিশপত্র পাওয়া কথা জানিয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মহিষতুলির মালদহ নদীতে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’