এস এম রাফি ৯ জুলাই ২০২৩ , ৪:৩৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন প্রকার গ্যাসের সিলিন্ডার স্থানীয় বাজার থেকে প্রায় উধাও! ফলে বিপাকে পড়েছে বাসা-বাড়ী ও হোটেল রেস্টুরেন্টেরের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরা।
ফুলবাড়ী উপজেলায় বসুন্ধরা,যমুনা,ওমেরা,নাভানা,ফ্রেস, বেক্সিকো, ওমেরা, লাভস ও বিএমসহ বিভিন্ন কোম্পানির এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় হয়ে থাকে। এসব বিভিন্ন কোম্পানির আলাদা আলাদা ডিলার বা এজেন্ট রয়েছে। এ ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদা মতো এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দেশে লিকুইড গ্যাসের সংকট ও ডিপো থেকে সিলিন্ডার সরবরাহ করতে না পারায় গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এছাড়া গ্যাসের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এলপিজি সিলিন্ডারের সরবরাহ নিয়ে টানা পোড়া চলছে ব্যসায়ীদের মাঝে । গত জুন মাসে হয়ে যাওয়া ঈুদুর আযহার ১
০-১৫ দিন আগে থেকে বসুন্ধরা গ্যাস বাজার থেকে উধাও হয়ে যায়। এসময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চড়া মুল্যে বসুন্ধরা গ্যাস বিক্রয় করতে শুরু করে। বর্তমানে সেই গ্যাসও কোথাও নাই।
এমাসে সরকার ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের নতুন মূল্য ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। এর পর থেকে বসুন্ধরার পাশাপাশি অন্যান্য গ্যাসের পাইকারী বিক্রয় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে নাভানা,ওমেরা ও যমুনা গ্যাস বাজারে পাওয়া গেলেও পাইকরারী বিক্রেতারা মানছেন না সরকারের দেওয়া মূল্য। ফলে বাজারে বর্তমান ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস বিক্রয় হচ্ছে ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন লক্ষ করা যায় নাই।
ফুলবাড়ী পুরাতুন বন্দর এলাকার বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহারকারী আজগর আলী বলেন, আমারা গ্যাসের এমন সংকটে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি। গ্যাসের চুলা ব্যবহারে অভ্যস্থ ও বাড়ীতে জায়গার সংকট থাকায় লাকড়ির চুলা ব্যবহার করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও আমি বসুন্ধরা সিলিন্ডার ব্যবহার করি। এখন যদি সেই সিলিন্ডার বদল করে নেই পরে বসুন্ধরা সিলিন্ডার ফেরত পাবো না। স্থানীয় বসুন্ধরা ডিলার অন্য কোন সিলিন্ডারে বসুন্ধরা গ্যাস দেয় না।
ফুলবাড়ী বাজারের গ্যাস বিক্রেতা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, হঠাৎ বসুন্ধরা গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় আমরা বসুন্ধরা সিলিন্ডার দিয়ে গ্যাস ব্যবহারকারিদের অন্য ব্রান্ডের গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে দিচ্ছি। ফলে আমাদের ঘরে এখন বসুন্ধরা গ্যাসের ফাকা সিলিন্ডার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সেই ফাঁকা সিলিন্ডার দিয়ে বসুন্ধরা গ্যাস ক্রয় করবো বলে আশায় আশায় বসে আছি। গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রতা ভ্যান গুলোতে বসুন্ধরা গ্যাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আজ কালের মধ্যে গ্যাস আসবে।
বর্তমানে ফুলবাড়ীতে বসুন্ধরা,নাভানা,ফ্রেস গ্যাসের ডিলার ছাড়া অন্যান্য কোন গ্যাস কোম্পানির ডিলার নেই।
গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ার বিষয়ে ফুলবাড়ীস্থ বসুন্ধরা কোম্পানির ডিলার রহমান ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আতাউর রহমান মিল্টনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কোম্পানিতে গ্যাসের লিকুইড শেষ হওয়ায় গত ১ মাস যাবত বসুন্ধরা কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এই মূহুর্তে সারাদেশে বসুন্ধরা গ্যাসের একই অবস্থা। এলাকার মানুষের দূর্ভোগ লাঘোবে বিভিন্ন এলাকায় থাকা মুজুদকৃত গ্যাস সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের পয়েন্টে কিছু গ্যাস সরবরাহ করা হবে।