হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ৫:০৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় গত ৯দিন যাবৎ সুর্যের দেখা নাই। প্রতি বছরেই উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলার চেয়ে শীত বেশি থাকে। এবার শীতের প্রকোপ বেশি। এর উপরে সুর্যের দেখা নাই। ফলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্কনে ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুয়েরাও কাবু হয়ে পড়েছে। কাজ কর্ম কম হওয়ায় পরিবারের খাবার জোগাড় করা কষ্ঠস্বাধ্য হয়ে পড়েছে তাদের। ঠান্ডায় নিন্ম আয়ের মানুষের পাশাপাশি সবচেয়ে বিপদে পড়েছে পশু,পাখিরাও। এমন কন্কনে ঠান্ডায় প্রতিবছর স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে। কিন্তু এবছর স্থানীয়দের পাশাপাশি কোন সংগঠন শীতবস্ত্র নিয়ে গরীব অসহায়দের পাশে দাড়াতে দেখা যায়নি। তাই রাতে কিনবা দিনে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষেরা।
স্থানীয়রা অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে কাছাকাছি কোন নির্বাচন নাই। অথবা নেতা-কর্মীদের এখন জনসমর্থন আদায়ের প্রয়োজন নাই। সে কারনে নেতা,কর্মীরা আর সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবছেন না। ভোট আসলে তখন টাকা অথবা কম্বল নিয়ে মানুষের কাছা কাছি ঠিকেই আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সমাজসেবক জানান, পূর্বে ও বর্তমানে যে সকল ব্যাক্তি অথবা সংগঠন যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন বা করছেন তার পেছনে ব্যাক্তি স্বার্থ অথবা সংগঠনের স্বার্থ জড়িতো থাকে। কেউ নিজের নাম ফুটাতে, আবার কেউ প্রতিষ্ঠানকে পরিচিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এবছর তাদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা লক্ষ্য করি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা গরম কাপড় গরম পড়ার পরে বিতরন করে থাকে। তারা যদি এই দুঃসময় মানুষের পাশে দাড়ায় তাহলে মানুষ বেশি উপকৃতি হতো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শফিউল ইসলাম জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন জন্য ২১০০ কম্বল ও ১টি পৌরসভায় জন্য ৪১০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এই উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ মানুষের বসবাস মাত্র দুই-তিন হাজার কম্বল খুবেই নগন্য। তাই এখনেই মানবিকভাবে বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারী বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও জনপ্রতিগনের দুস্থ্য শীতার্তদের পাশে দাড়ানো উচিত।