বিবিধ

ফুলবাড়ীর একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটি আজ অচল

  এস এম রাফি ৯ জুলাই ২০২৩ , ৪:৩০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর) প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটিতে অযতেœ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে মুল্যবান বই। লাইব্রেরী কমিটির নিষ্ক্রিতায় ২০১৫ সালে নতুন রুপে উদ্বোধন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত বছর বন্ধ রয়েছে লাইব্রেরীটি। সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন কমিটি গঠন করে সবসময় সচল রাখার দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

লাইব্রেরীটি ফুলবাড়ী পৌরসভার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামে অবস্থিত। কথিত আছে ১৯১৬ সালে সুরেশ চন্দ্র নামে এক জমিদার ৮শতক জায়গায় তার নামে সুরেশ পাবলিক লাইব্ররী নামে প্রতিষ্টিত করে। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত জায়গাটি পাবলিক লাইব্রেরী নামে পরিচিত। স্বাধীনতার পরে লাইব্রেরীটি পরিত্যক্ত অবস্থায় অনেক বছর পড়ে থাকে। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে পুনরায় চালু করা হয়।

খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সালে ডাঃ মুশফিকুর রহমান (লিও) চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি আহবায়ক কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ডাঃ লিও ও ডাঃ লাবু পদত্যাগ করেন। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি পাবলিক লাইব্রেরীটিতে সরকারী বরাদ্দ দিয়ে সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাপটপ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নাম দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন। সেসময় সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীর আহবায়ক আলহাজ মোকছেদ আলী শাহ এর সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সাবেক এমপি মোঃ সোহেব বাবুলসহ আরো অনেকে।

নতুন রুপে উদ্বোধনের পর থেকে আজ পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরীটি কোন শিক্ষাথী,শিক্ষক অথবা সুধিজন প্রবেশ করতে পারেন নাই। খবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার তার ব্যাক্তিগত একজন রিস্কা চালককে সেখানে বসবাস করার জন্য ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার এর ০১৭১২ ৪৭০৩১৩ নম্বার এ মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার হলে তাকে ফোনে পাওয়া যাইনি।

অশুভ শক্তির হাত থেকে সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীটি মুক্ত হয়ে অতিত ঐতিহ্যকে ধারন করে বর্তমান সময়ের পাঠকের মনে নতুন করে জায়গা করে নিবে এমন প্রত্যাশা ফুলবাড়ী উপজেলার বই প্রেমী মানুষের।