বিবিধ

ফেরি চালুর ১২ দিনের মাথায় ফের বন্ধ রৌমারী-‌চিলমারী রু‌টে ফে‌রি

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ৬ জুন ২০২৫ , ১২:২১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

পবিত্র ঈদুল আজহায় ‌রৌমারী-‌চিলমারী রু‌টে ফে‌রি সু‌বিধা পাচ্ছেন না ব্রহ্মপুত্র ন‌দের নৌপ‌থের যাত্রীরা। ফ‌লে নানা ভোগান্তি আর বাড়‌তি খর‌চ কর‌তে হ‌চ্ছে ঘ‌রে ফেরা মানুষগু‌লোর। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ফেরি চালুর ১২দিনের মাথায় ফের বন্ধ হওয়ায় ঈদ যাত্রা নি‌য়ে তীব্র ক্ষোভের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। ঘাট ত‌লি‌য়ে যাওয়ার অজুহা‌তে ফে‌রি বন্ধ করায় সি‌ন্ডি‌কে‌টের কারসা‌জি ব‌লে ম‌নে কর‌ছেন ভুক্ত‌ভোগীরা।

অন‌্যদি‌কে, ফে‌রি বন্ধ থাকায় ঈদ উপল‌ক্ষে যাত্রী‌দের কাছ থে‌কে বাড়‌তি ভাড়া আদায় করার অ‌ভি‌যোগ দীর্ঘদি‌নের। বৃহস্প‌তিবা‌র সকা‌লে বাড়‌তি ভাড়া চাওয়ায় চিলমারীর রমনা ঘা‌টে নৌকা মা‌লি‌কের স‌ঙ্গে ক‌য়েকজন যাত্রী‌র বাক বিতণ্ডা হয়। এতে তিন নৌকা যাত্রী আহত হন ব‌লে জানা গে‌ছে। ত‌বে তা‌দের নাম পরিচয় জানা যা‌য়নি।
এর আগে গতবছর ২৩ ডিসেম্বর নাব্যতা সংকট কার‌ণে ওই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে বিআইডব্লিউটিএ। এরপর গত মে মাসের ২২ তারিখ ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়লে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ফেরি চালুর ১২ দিন পরই গত বুধবার(৪ জুন)রৌমারীর ফলুয়ার চর ঘা‌টের রাস্তা ত‌লি‌য়ে যাওয়ায় ফে‌রি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এক‌টি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা চিলমারী-রৌমারী ঘাটের ইজারাদার ও নৌকার মালিকদের সঙ্গ যোগসাজশ করে নানা অজুহা‌তে প্রতি ঈদে ফেরি চলাচল বন্ধ করে। এতে ক‌রে ঈদে ছুটিতে ঢাকা-জামালপুর হয়ে আসা যাত্রীরা ফে‌রি সু‌বিধা পা‌ন না। এতে ক‌রে বাড়‌তি ভাড়ার মাধ‌্যমে যাত্রী‌দের প‌কেট কাটে চক্রটি।

রৌমারী ঘাট দি‌য়ে চিলমারী আসা নৌকার যাত্রী আলমগীর হো‌সেন, মোজাফ্ফর আলী জানান, রৌমারী থেকে চিলমারী ঘাটের নৌকা ভাড়া ১০০ টাকা। কিন্তু ঈদ‌কে সাম‌নে রে‌খে বা‌ড়তি ৫০ থে‌কে ১০০টাকা ক‌রে নেওয়া হ‌চ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো রশিদও দি‌চ্ছে না। প্রতিবাদ কর‌লে তারা উল্টো খারাপ আচরণ ক‌রে।

এ বিষ‌য়ে চিলমারী রমনা ঘা‌টের চেইন মাষ্টার সি‌দ্দিক আলীর স‌ঙ্গে যোগা‌যোগ কর‌লে পাওয়া যায়‌নি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ক‌র্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই তীরের ঘাট ডুবে গেছে। আমরা চিলমারী-রৌমারী ঘা‌টে শুষ্ক মৌসুমে পানি কম থাকলে একটি, পা‌নি বৃ‌দ্ধি পে‌লে আরেক‌টি ঘাট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি। এ ছাড়া নাইট নেভিগেশন করা হ‌লে রা‌তেও ফে‌রি চল‌বে। এতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপা‌রে সু‌বিধা হবে।##