চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৮:৪৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
শফিকুল ইসলাম। পেশা একজন কৃষক। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙে নিয়ে বাদামের বীজ রোপণ করছেন। তবে তার অভিযোগও রয়েছে কৃষি প্রণোদনার সহায়তা না পাওয়ার ।
জেলার চিলমারীর বিস্তীর্ণ চর অঞ্চল জুড়ে বাদাম চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন এসব কৃষক- কিষাণীরা। ধু-ধু বালুচরে এসব বাদামের বীজ রোপণ চলছে। মৌসুমের ভাদ্র মাস বাদামের বীজ রোপণের উপযুক্ত সময়। তিন মাসের ব্যবধানে বাদামের ফলন ঘরে তুলতে পারেন তারা।
শনিবার সকালে নয়াহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউয়ার চরে সরেজমিন গিয়ে বীজ রোপণ করার সময় কথা শফিকুল ইসলামের সঙে। তিনি জানান, বাদাম রোপণের উপযুক্ত সময় এই ভাদ্র মাস। পরিবারের সকল সদস্যদের সঙে নিয়ে বাদামের বীজ রোপণ কাজ চলছে কয়েকদিন থেকে। শফিকুল তিন বিঘা জমিতে এবার বাদাম চাষ করছেন বলে জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের প্রণোদনা সহায়তা পাননি।
এদিকে তিন বিঘা জমিতে বাদাম রোপণে ব্যয় হবে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে এটি উত্তোলন করে বাদাম পাওয়া যাবে প্রায় ১২০ মণ। যার কাঁচা অবস্থায় বিক্রি হবে ৩ লাখের উপরে হবে। অপর দিকে এই বাদাম শুকিয়ে বিক্রি করলে প্রায় ৬ লাখের মত টাকা হবে। অর্থাৎ ১২০ মণ কমে ৬০ মণ হবে।
অপর এক কৃষক আছাব উদ্দিন শেখ বলেন, প্রায় ১ বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, এখনো বাদামের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। আর বাদামের প্রণোদনা সহায়তা এখনো দেয়া হয় নি।