সারাদেশ

বিয়ের দাবিতে সাংবাদিকের বাড়িতে পরকীয়া প্রেমিকার অনশন

  অনলাইন ডেস্ক ২৪ নভেম্বর ২০২৩ , ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের বাবা এনামুল কবীর মুন্নার বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক সন্তানের জননী। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের মুন্না নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গত ৫ বছর ধরে পরকীয়া করছিলেন বলে দাবি অনশনরত গৃহবধূর।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুন্ননার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই গৃহবধূ।

স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূ বিয়ের দাবিতে মুন্নার বাড়িতে আসলে মুন্না বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে মুন্নার স্ত্রী ও মা ওই গৃহবধূর ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। এমন অবস্থায় স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে এক ঘণ্টার মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের ছোট ভাই আব্দুর রশীদের জিম্মায় দিয়ে দেন।

জিম্মাদার আব্দুর রশীদ ও স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘মহিলাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এনামুল কবীর মুন্না শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। সম্প্রতি মুন্না ওই মহিলাকে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলেন। মুন্নার কথা মতো এই মহিলা তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পরে মুন্না মহিলার সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন করে দেন।’
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আগে থেকেই আমার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না। এরই মধ্যে এনামুল কবীর মুন্না সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কেজড়িয়ে পরে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। শেষমেশ সে আমাকে স্বামী ত্যাগ করতে বললে তার কথা মত আদালতে গিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দেই। ডিভোর্সের পর সে আমার সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন করে দেন। আমি কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে তার বাড়িতে চলে আসি। আমার মানসম্মান সব শেষ, এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

স্থানীয়রা জানান, এনামুল কবীর মুন্না এলাকায় গ্লোবাল টিভির প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করে। এছাড়া লোকজনকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে একাধিক সালিস বিচারও হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয়ে সে প্রকাশ্যে থানার দালালি করে পুলিশ ও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ৭ থেকে ৮টি মামলার রয়েছে। একটি মামলায় তার ৬ মাসের সাজাও হয়েছিল।