এস এম রাফি ১৭ মে ২০২৩ , ৩:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
বৈশাখের শেষে বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাশ্ববর্তী তবকপুর ইউনিয়নে অবস্থিত উমানন্দ কলেজটি। সোমবার (১৫মে) মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজটির ৬টি শ্রেনীকক্ষ ও ৫০টি বেঞ্চসহ আসবাবপত্র লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে ৬০হাত লম্বা টিনসেট ঘরটির টিনগুলি দুমড়ে মুষড়ে গেছে এবং খুটিগুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
জানা গেছে,তববকপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উমানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সুনামের সহিত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিদ্যালয়টির ক্যাচমেন্ট এলাকা এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্ধে বিদ্যালয়টিকে ঘিরে ২০১৩ সালে উমানন্দ স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। উপজেলার বৃহৎ ওই ইউনিয়নে এটিই একমাত্র কলেজ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কলেজটিতে নিয়োমিত শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হলেও অদ্যাবধি কলেজটি এমপিও ভ’ক্ত হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৭৮জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে শ্রেণী পাঠ গ্রহণ করে আসছে। কাল বৈশাখীর তান্ডবে কলেজটির ভবন লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ওই এলাকার ছাত্র অভিভাবক ফজলু মিয়া, শহিদুর রহমান, হাসান আলী সাবুসহ অনেকে জানান,বৃহৎ এই এলাকার কলেজটি নির্মানকালে স্থানীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করায় এখানকার শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকবৃন্দ বেশ উপকৃত হয়েছে। হঠাৎ ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে প্রতিষ্ঠানটির ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব প্রায়।
কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহনাজ খাতুন,একাদশ শ্রেণির মিথিলা সরকার ও শারমিন আক্তার জানান, হঠাৎ ঝড়ে কলেজটি উড়ে গিয়ে আমাদের পাঠদানের বিরাট ক্ষতি হয়েছে, দ্রুত শ্রেণী কক্ষ নির্মান কিংবা সংস্কার না হলে বিপদে পরবো।
কলেজ শাখার প্রভাষক ও প্রধান উদ্যোক্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, কলেজটি নির্মান করতে সব শেষ করেছি এখন নতুন করে এই ভবন নির্মান করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব প্রায়।
স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখায় ১১জন প্রভাষক রয়েছেন যাদের একজনও এমপিও ভূক্ত নন। তারা দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে শ্রেনী পাঠদান পরিচালনা করে আসছেন। হঠাৎ কাল বৈশাখীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ভবনটি নিয়ে আমরা চিন্তিত।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল ইসলাম জানান, ঝড় হয়েছে জেনেছি, প্রতিষ্ঠান প্রধান জানালে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।