রংপুর ব্যুরো ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ১২:২০ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার বাদি মামুন নিজেই। তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়া ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্যের যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে তাকে চাপ প্রয়োগ করে করা হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা লোক মারফত তাকে মাহিগঞ্জের বাড়িতে ডেকে দেন। সেখানে গোপনে ভিডিও ধারণ করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এতে মহানগর বিএনপি ও আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
গতকাল বুধবার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ওই মামলার বাদী রংপুর মহানগরীর ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ মামুন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে রংপুর সিটি বাজার এলাকায় আহত হন। এ ঘটনায় তিনি রংপুর কোতয়ালী থানায় গত ১৩ নভেম্বও ১৮১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দুই শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী করা হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। যার মধ্যে কয়েকজন মহানগর বিএনপি’র সদস্য কাওছার জামান বাবলার ঘনিষ্ট বলে তিনি উল্লেখ্য করেন। এতে বাবলা ক্ষুব্ধ হয়ে মামলার বাদিকে ১৬ নভেম্বর সকাল বেলা তার মাহিগঞ্জের বাসায় ডেকে নেন। এরপর তিনি মামলার আসামী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এর পর তিনি বিএনপি’র রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর নির্দেশে ওই মামলায় আসামীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন মর্মে স্বীকারোক্তি দিতে বলেন। এতে বাদি মামুন রাজি না হওয়ায় তাকে জীবন নাশের হুমকী প্রদান করে তার শেখানো কথা বলে গোপনে ভিডিও ধারন করেন। যা তিনি প্রাণ ভয়ে বলেছেন। ওই ভিডিও দুই-তিনটি গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই বক্তব্য বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলার হুমকীর মুখে আমি প্রাণ ভয়ে বলে বাধ্য হয়েছি। যা সত্য নয়। আমার প্রিয় নেতা সামসুজ্জামান সামুকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তিনি তা প্রচারিত করেছেন। একই সাথে তিনি বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করতে ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এই অপপ্রচার করেছেন। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই। বৈষ্যম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার প্রতি হামলা চালিয়েছে তাদের বিচার দাবি করেন। সেই সাথে বিএনপির ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহিৃত করে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান।
এসময় রংপুর মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মাহিগঞ্জ থানার আহবায়ক শফিকুল ইসলাম সবুজ, ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক শামীম, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলম মিয়া, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হানিফ মিয়া, সাজু মিয়া, বিএনপি নেতা আতোয়ার রহমানসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।