এস এম রাফি ১৯ আগস্ট ২০২৩ , ৮:১২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেয়া হয়েছে। ভারত বলেছে, বাংলাদেশে যদি শেখ হাসিনা সরকারকে দুর্বল করা হয় তাহলে তা সকলের ক্ষতি।
বিশেষ করে আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা রক্ষায় শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত জানিয়ে দিয়েছে যে, শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কারণ এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন ও জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। ভারতের এই বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে গ্রহণ করেছে সেটি না জানা গেলেও এটি স্পষ্ট যে ভারতের এই বার্তার ফলে তাদের মনোভাব সুস্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন-সার্বজনীন পেনশন স্কিম
ভারত যে আগামী নির্বাচনে নিশ্চুপ ভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না—এটা এখন মোটামুটি নিশ্চিত। আর ভারতের এই প্রকাশ্য অবস্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের এই আনুষ্ঠানিক অবস্থানের ফলে বিএনপির মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিএনপি যে আন্দোলনের ছক এবং পরিকল্পনা করেছিল তা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করে আর ভারত যদি বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে সেই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়, সেক্ষেত্রে বিএনপির সামনে আর কোন পথ থাকবে না।
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সহযোগিতা পাবে না। ফলে বিএনপির জন্য এটি একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।
ভারতের সম্মতি এবং ভারতের সহানুভূতি ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বড় কোনো প্রভাব রাখা যায় না, সেটি বিএনপি’র চেয়ে আর কে বেশি জানে। এখন দেখার বিষয় ভারতের এই মনোভাবের পর বিএনপির কিভাবে তার রণকৌশল ঠিক করে।
এখন বিএনপির সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত, ভারত বিরোধী কঠোর অবস্থানে গিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো। দ্বিতীয়ত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটের চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়া।
বিএনপি কোনটা করবে সেটা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।