বিবিধ

মরিচ চাষে ভাগ্য বদলেছে রারেয়াদের

  এস এম রাফি ২২ মার্চ ২০২৩ , ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

এস এম রাফি, চিলমারী(কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে জীবনের গতিপথ সচ্ছল হয়েছে বলে জানিয়েছে মরিচ চাষিরা।
সরেজমিনে উপজেলার সীমান্তবর্তী চর-হরিপুর (ডাঙারচর) এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এসব মরিচ চিলমারী উপজেলার স্থানীয় বাজারে পাইকারদের নিকট বিক্রি করেন তারা। এসময় মচির চাষের পাশাপাশি আবাদ করেছে বেগুনও।
এবার চিলমারী উপজেলায় ২১৫হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১৫০ হেক্টর। অপরদিকে বেগুন চাষ হয়েছে ৮৮ হেক্টর জমিতে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি দফতর। অফিস জানায়, গতবছরের তুলনায় এবছর মরিচ চাষ একটু কম হয়েছে। যেহেতু ভুট্টা চাষে কম খরচে বেশি ফলন হয়।
গতবারের চেয়ে এবারে কাঁচা মরিচের দাম মোটামুটি ভালো পাচ্ছেন বলে জানায় অষ্টমীরচর এলাকার কৃষক আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হয়েছে।চরহরিপুর এলাকার কৃষক এবাদুলের সহধর্মীনি মোছা. রাবেয়া বেগম জানান, তারা স্বামী স্ত্রী মিলে এবার ১২ শতাংশ জমিতে কাঁচা মরিচ ও ১২শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। বেশ কয়েকবছর ধরে তারা এসব জমিতে মরিচ চাষ করে আসছেন বলে জানান। রাবেয়া বেগম বলেন, ১৮’শ চারা গাছ ২হাজার টাকা দিয়ে কিনে এনে জমিতে লাগিয়েছে। বর্তমান সর্বোমোট প্রায় ১৫/১৭হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে বাজারে মরিচে দাম ২৪’শ থেকে ২৫’শ টাকা মণ বিক্রি করছে পাইকারী বাজারে । এসব মরিচ আষাঢ় মাস পর্যন্ত গাছ থেকে তুলতে পারবেন। এবার এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০হাজার টাকা আয় করেছে। তবে গত বছরে প্রায় ১লাখ টাকা লাভ হয়েছে বলেও জানান তিনি। অভাব অনটনের সংসারে দিন বদলেছে এসব সবজি চাষে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, এবছর মরিচ চাষ কম হয়েছে। কৃষকরা ভূট্টা চাষের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়েছে। তারপরেও চিলমারীর অষ্টমীরচর, নয়ারহাট এলাকায় তুলনামূলক মরিচ চাষ হয়েছে।
আমাদের দিক থেকে কৃষকদের সাথে সর্বাত্মক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।