এস এম রাফি ১৯ মার্চ ২০২৩ , ৫:১২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে এসে বিপাকে পড়ছে। ছেলে মেয়ের ইচ্ছা পুরনে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়াতে পাচ্ছে না। দরিদ্র কৃষকের কাছে ইলিশ খাওয়া এখন স্বপ্ন। কৃষক ১ মন ধানের বিক্রয় করছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে। অপরদিকে ইলিশ মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০, খাসির মাংস বিক্রয় হচ্ছে কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা দরে। ফলে কৃষক ১মন ধান বিক্রয় করে কিনতে পাচ্ছেনা ১ কেজি ইলিশ মাছ। লালমসজিদ এলাকার কৃষক আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন বাবু এর সাথে কথা বলে জানাগেছে এক দোন (২৫ শতক) জমিতে আমন ধান চাষ করে উৎপাদন হয় ৭ থেকে ৮ মন। এ ফসল জমি থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পরে প্রায় ৭ হাজার টাকা। এতো কষ্ট করে ধান চাষ করে সেই ধান জমি থেকে কেটে আনার পর বিক্রি হয় রকম ভেদে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা মন। বর্তমানে জাতীয় মাছ ইলিশ মাছ খেতে চাইলে ১মন ধান বিক্রি করেও কেনা সম্ভব হচ্ছেনা। ছেলে-মেয়েদের মুখে একটুকরো ইলিশ মাছ, বা মাংস তুলে দিতে হলে এক কেজি মাছ বা মাংস কিনতে হলে এক মন ধান বিক্রি করেও কিনতে পাচ্ছে না। নিজপাড়া গ্রামের কৃষক প্রহলাদ চন্দ্র জানান বাজারে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যায়, এমন কোন জিনিষ নেই যার দাম বৃদ্ধি পায় নি। কৃষক এভাবে ধানের বাজার কম থাকলে কৃষক আর ধান চাষ করবে না। সরকারের কৃষকদের বাঁচার ও ধান উৎপাদন সাভাবিক রাখতে কৃষক প্রনদনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করছেন।