সারাদেশ

রংপুরে খালেদা জিয়ার ‘রুহের মাগফেরাত’ কামনা, নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

  রংপুর ব্যুরো ২৫ জুন ২০২৪ , ৪:৪১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘রুহের মাগফেরাত’ কামনা করেছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। গত রোববার সন্ধ্যায় নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন। উক্ত সভায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফছার আলীসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তার বক্তব্য দেয়ার ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও। এ বক্তব্য দেওয়ার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই হতবাক হয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে নেয়ার দাবি করেন। কেউ কেউ তার পদত্যাগও দাবি করেছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে দলের একাধিক কর্মী বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো জীবত রয়েছেন। জীবিত খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা কীভাবে করে? এটা তার (সাইফুল) দায়িত্বহীন বক্তব্য। ২৮ অক্টোবরের আন্দোলনের পর তিনি দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রম থেকে বাহিরে ছিলেন। গত রোববার তিনি রংপুরে এই প্রথম সভায় এসেছেন। আর এসেই বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি করলেন। যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন তা মানা যায় না।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়কের ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি আরেকটি বিষয় গভীর দুঃখের সঙ্গে প্রকাশ করছি। আমাদের জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আজকের এই জরুরি মিটিংয়ে তার জন্য দোয়া হবে, আপনারা সবাই থাকবেন।’
এবিষয়ে রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সাথে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু বলেন, উনি (সাইফুল) বিষয়টি ওইভাবে বলেননি। ভুলবশত হতে পারে, তবে ইচ্ছাকৃত বলার কথাও নয়। এটা স্লিপ অব টাং।
এদিকে রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলামের এমন বক্তব্যে রংপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থকরা চরম ক্ষুদ্ধ। একজন দায়িত্বশীল হয়ে তিনি কিভাবে এমন বক্তব্য দিতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছেন। এছড়াও বিএনপির বাহিরেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে তার বক্তব্য।