রাবি প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ , ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তিন দিনব্যাপী ‘শৈত্যোৎসব ও পিঠা পুলি মেলা- ১৪৩১’ শুরু হয়েছে।
মেলায় শতাধিক স্টলে হরেক রকমের পিঠা, বাহারি নকশার পোশাক ও হস্তশিল্পের জিনিসপত্রের পাশাপাশি সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা। সার্বিক নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ উৎসব কমিটির সদস্যরা কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের গানের দল ‘ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত স্টল খোলা থাকবে। শৈত্যোৎসবে পিঠা পুলি মেলা, বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গানের দলের পাশাপাশি দেশ সেরা ফোক, বাউল, কাওয়ালী শিল্পীদের অংশগ্রহণ থাকছে এই আয়োজনে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠের চতুর্পাশে শতাধিক স্টল বসেছে। এতে পিঠাপুলিসহ তরুণ উদ্যোক্তাদের নানা পোশাক ও হস্তশিল্পের জিনিসপত্র বিক্রি করা হচ্ছে। স্টলগুলোতে দুধ মনমোহন, মাল পোয়া, মালাই রোল, দুধ কুলি, গোলাপ পিঠা, নকশী পিঠা, ভাপা, চিতই, পাঠীসাপটা, তেল পিঠা, তারা পিঠা, লবঙ পিঠা ও ডাবের পুডিং সহ প্রায় অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি পাওয়া যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তি ও অভিনয় দর্শকরা দারুণভাবে উপভোগ করছে।
উৎসবে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রনি আহমেদ বলেন, শীতে উৎসব বরাবরই উপভোগ্য। এতে লোক সংস্কৃতির মতো আয়োজন ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। উচ্চ শিক্ষার জন্য আমরা বছরের অধিকাংশ সময়ই বাহিরে থাকি। শীত মৌসুমে বাড়িতে থেকে সেভাবে পিঠা খাওয়া হয় না। ফলে ক্যাম্পাসে এমন আয়োজনে অনেক ভালোলাগা কাজ করে। তাছাড়া, পছন্দের কয়েকটি ব্যান্ড সংগীত দলের আসার খবর পেয়েছি যাদের গান শোনার জন্য অপেক্ষায় আছি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে মেলার আহ্বায়ক কে এস কে হৃদয় বলেন, বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি ধরে রাখতেই এই উৎসব। মেলায় তরুণ শিক্ষার্থী উদ্যোক্তারা পিঠাসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের স্টল দিয়েছে। উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করতে লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন আছে। সার্বিক নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ উৎসব কমিটির সদস্যরা কাজ করছে।