জাতীয়

রোববার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসি’র বৈঠক, তারপর যে কোন মুহূর্তে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপসীল

  uadmin ১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬:৪২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদকঃ নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মব্যস্ত সময় পার করছে।

আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের তফসিল নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এই বৈঠকেই নির্বাচনের বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এরপর যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতসম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।

এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, নির্বাচন করতেই হবে এবং সংবিধানের বেঁধে দেওয়ার সময়ে নির্বাচন করা তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। আর এখান থেকেই নির্বাচন অভিযাত্রা শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজ ১লা নভেম্বর থেকে দেশ নির্বাচনী মহাসড়কে প্রবেশ করল। কারণ ২৯ জানুয়ারীর মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে—এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত কোন কিছু জানা যায়নি।

তবে ধারণা করা হচ্ছে যে নভেম্বরের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।সেক্ষেত্রে আগামী রোববার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত একটি পরিস্থিতি জানা যাবে।

ইতোমধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল যে পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচনের আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যাবে কি যাবে না এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে যে একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

একটির কারণে আরেকটি বন্ধ থাকবে না। বরং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল যখন ঘোষণা করা হবে সেই তফসিলে যারা পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী আছেন তারাও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন।

তবে নির্বাচন কমিশন আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ জানুয়ারীকে মাথায় রেখে নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এবং দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হতে পারে।

আর নির্বাচনের প্রচারণার জন্য প্রার্থীরা তিন সপ্তাহ সময় পাবেন। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন কতটা কাজ গুছিয়ে নিতে পেরেছে তার ওপর।

নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে ধাপে ধাপে তাদের কর্মকান্ডগুলো এগোচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, একটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যে ধাপগুলো পার করতে হয় সবগুলো ধাপ এক এক করে পার করা হচ্ছে। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, নির্বাচন কমিশন নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেছে, এখন ৪৪ টি রাজনৈতিক দলকে শনিবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পুরো প্রস্তুতির বিষয়টি অবহিত করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি সবুজ সংকেত দেওয়ার সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।