বিবিধ

রৌমারীর চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে পার্টনার ফিল্ড স্কুল আলো ছড়াচ্ছে

  রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ , ৭:৫৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে চর শৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারীর চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে বাড়ির আঙিনায় পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কার্যক্রমের মাধ্যমে আলো ছড়াচ্ছে রৌমারী কৃষি অফিস। বই-খাতা নিয়ে এসব স্কুলে পড়ছে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীরা।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, পার্টনার প্রোগ্রাম এর আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রৌমারী এর ২০২৪-২৫ অর্থ বছর গম, ধান, ভুট্রা, ডাল, ফসল ও উত্তম কৃষিচর্চার উপর ৯ টি কৃষক মাঠস্কুল সফল ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারী গ্রামের ১৩ জন পুরুষ ও ১২ জন নারীসহ ২৫ জন কৃষক কৃষানি নিমগ্ন হয়ে শুনছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী, মো: একরামুল হক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তোফায়েল আহমেদ। স্কুলে আসা নানা বয়সের এসব নারী/ পুরুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সবাই এখানে স্কুলছাত্রী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার-টেবিল ছাড়া এ স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে কীভাবে আধুনিক উপায়ে গম, ভুট্রা, ডাল চাষ করা যায়। তার রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা, সার ও পানি ব্যবস্থাপনা, উপকারী-অপকারী পোকা সম্পর্কে মোট কথা বীজ হতে পুনরায় বীজ প্রাপ্তিতে যত আধুনিক উপায় আছে সবকিছু হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে।

পার্টনার ফিল্ড স্কুলের ছাত্র কৃষকরা রোকনুজ্জামান বলেন, জমিতে সঠিক মাত্রায় সার, সঠিক সময়ে জমিতে পানি রাখার গুরুত্ব, সঠিক পদ্ধতিতে বালাইনাশকের ব্যবহার, আইপিএম পদ্ধতিতে পোকা দমনসহ এ স্কুলে পড়ে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারছেন তারা।

চর শৌলমারী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, পার্টনার স্কুলে পড়ে কৃষকরা কৃষি ও পারিবারিক পুষ্টি বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে নারীরা হাতে কলমে এ শিক্ষাগ্রহণ করে সংসারে সন্তান লালনপালন ও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছেন।

রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এটি পার্টনার প্রকল্পের গম, ভুট্রা, ডাল একটি পার্টনার ফিল্ড স্কুল। এ স্কুলে গমের সময় উপযোগী সেশন পরিচালনার মাধ্যমে কৃষকদের বাস্তব ও হাতে কলমে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে কৃষকরা কৃষির আরও আধুনিক, বাণিজ্যিক ও স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে পারবে বলে মনে করছি।

উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিচালিত প্রতিটি স্কুলে ১৩ জন নারী ও ১২ জন পুরুষ মোট ২৫ জন কৃষক-কৃষাণী  সপ্তাহে একদিন করে ১০ টি সেশনে ক্লাস করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ও এসএপিপিও সহায়তাকারী হিসেবে এবং সংশিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়োজনকারী হিসেবে এ স্কুলের সেশন স্কুল পরিচালনা করছেন।