রাজনীতি

শেখ হাসিনা ব্যতিত বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়:অধ্যাপক এস এম এক্রাম

  রাবি প্রতিনিধি: ১৭ মে ২০২৪ , ২:৫২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর।

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ।

অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ সার্বজনীন,বস্তুনিষ্ঠ এবং যুক্তি নির্ভর।বাঙালি জাতীয়তাবাদী দর্শন অসাম্প্রদায়িক,ধর্মনিরপেক্ষ, গণমুখী, প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী। আর শেখ হাসিনা ব্যতিত বর্তমান বাংলাদেশে এই জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। কারণ তিনি আমাদের অনুভবে, চিন্তায়, চেতনায় ও আদর্শে আছেন।বাঙালি জাতি অর্থাৎ দেশপ্রেমী জনগণকে একত্রিত করা ও দেশকে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭মে তার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল।প্রত্যাবর্তনের শুরুতেই তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন।
বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের মানুষের ভাত এবং ভোটের অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে চলছে।

তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর শুরুতেই জেনারেল এরশাদ এবং জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনিই প্রথম যে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং আন্দোলন গড়ে তোলেন। সে সময় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করে বাঙালি জাতিকে সামরিক শাসন থেকে মুক্ত করেন। এসব আন্দোলনের একমাত্র কারণ হলো বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের প্রতি প্রেম, মায়া ও মমতা। তিনি বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের জন্য নিবেদিত, বিচলিত এবং চিন্তিত।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে কারফিউয়ের যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল পরবর্তী ৫ বছর এই রাজনীতি ছিল। এইরকম একটি ভয়াবহ রাজনীতি যেখানে মিটিং মিছিল করা যেত না, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলা যেত না, সাম্যের কথা বলা যেত না। তার বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই কথা বলেছেন ও সংগ্রাম করেছেন।

প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে উনার প্রত্যাবর্তন আমরা বাংলাদেশের মানুষ পুনঃশৃঙ্খল মুক্ত ও পুনঃস্বাধীনতা লাভের ঊষালগ্ন হিসেবে তুলনা করতে পারি। তিনি সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির আশা-ভরসার আস্থার সোনালী সূর্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। তারে প্রত্যাবর্তন ১৯৭২ সালের ১০শে জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাথে তুলনা করা যায়। তারে প্রত্যাবর্তনে এই বাংলার প্রকৃতিও আনন্দ ও কষ্টে কান্নায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল।

উপ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর বলেন,আজকে আমাদের কৃষি বিপ্লবের ফলে কেউ না খেয়ে আছে এমনটা কেউ বলতে পারবেনা। আসলে বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের তিন বেলা খাবার,সামাজিক নিরাপত্তা,শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছু নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের বিষয় কিন্তু বর্তমান বিশ্বের বিরূপ পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনা সবকিছু নিশ্চিত করেছেন।#