সারাদেশ

শ্রীনগরে রাতের আধারে কবরস্থানের রাস্তা কেটে জমি দখলের চেষ্টা

  এস এম রাফি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ৫:০৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে রাতের আধারে কবরস্থানের রাস্তা ভেকু দিয়ে কেটে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের প্রাণীমন্ডল কবরস্থানের রাস্তা কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠে ঐ এলাকার প্রভাবশালী ফারুকগংয়ের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন পূর্বে জমি দখলে নিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কবরস্থানের জমি দাতা হযরত আলীর বাড়ীঘরে ভাংচুর চালানো হয়ে। এতে ভুক্তভোগী সোহেল শেখের বড় বোন, ভাবী বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে এবং সাথে থাকা স্বর্ণের চেইন, মোবাইলসেট ছিনিয়ে নিয়ে খুন করার হুমকি দেয় ফারুকগং। পরে এব্যাপারে সোহেল বাদী হয়ে ফারুক গংদের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায, প্রাণীমন্ডর মসজিদ কমিটির সভাপতি হযরত আলী শেখ প্রাণী মন্ডল কবরস্থানের জমি ও ফরহাদের বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে কবরস্থানে লাশ নিয়ে দাফনের জন্য রাস্তার জমি ওয়াকফ করে দেন। গত ৭ বছর যাবৎ ঐ রাস্তা দিয়ে এলাকার লাশ কবরস্থানে নিয়ে দাফন করে আসছে এলাকাবাসী। ফারুকগং কবরস্থানের পূর্বে পার্শ্বের ৪১ শতাংশ জমি প্লট করে বিক্রির উদ্দেশে হযরত আলী ভাতিজা রফিকুলের কাছে থেকে ক্রয় করেন এবং মনিরের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে হযরত আলীর অপর একটি জমির উপর দিয়ে জোড় পূর্বক উত্তরে দক্ষিনে আড়াআড়ি রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করেন। এতে হযরত আলী বিজ্ঞ আদালতের ধারহস্ত হয়ে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ফারুক ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আমির দেওয়ানগং।

ভুক্তভোগীর ছেলে সোহেল জানান, আমার বাবা কবরস্থান ও কবরস্থানের রাস্তা ওয়াকফ করে দেওয়ার পরও ফারুক ও আমির দেওয়ানগংয়ের নেতৃত্বে আমাদের বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে জোড়পূর্বক রাস্তা নেয়ার চেষ্টা করে। কবরস্থান তৈরিসহ আমাদের একটি জায়গা ওয়াকফ করে দিয়ে ছিলাম। সেটির রাস্তাও রয়েছে। এখন আবার আমাদের আরেকটি জায়গা দখল করে নেওয়া হচ্ছে। গত রাতে ফারুকগং কবরস্থানের ওয়াকফ করা রাস্তা ভেকু দিয়ে কেটে নস্ট করছিল। তাৎক্ষণিক আমরা প্রশাসনকে জানালে প্রশাসনে এসে রাস্তা কাটা বন্ধ করে দেন।

ইউপি সদস্য আমির দেওয়ান বলেন, সোহেলের চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে তারা মোট ৪১ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেছেন। কেনা জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বে কোনো হামলা চালানো হয়নি।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবদুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, এই ব্যাপারে গতকাল রাতে মেসেজ পেয়ে আমরা গিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছি। এলাকা ভিত্তিক এটা মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কাজ বন্ধ থাকবে।