মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
যাদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্য তৈরী করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠা আর তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখে তৈরী করা হচ্ছে স্কুলের সীমানার প্রাচীর এমনটাই অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার হাসাড়ার ইউনিয়নের ১০নং পূর্ব হাসাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চর্তুদিকের স্কুলের প্রাচীর নির্মাণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। স্কুলের এই প্রাচীর নির্মাণের ফলে স্কুল সংলগ্ন উত্তর পাশে থাকা ঐ স্কুলে পড়ুয়া ২য় শ্রেনীর ছাত্রী শ্রুতি সরকার(৮) ও পূর্ব পাশে বসবাস ৬০টি পরিবারের স্কুলে পড়ুয়া ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় পাচঁ শতাধিক মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। এই ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারদের পক্ষে ঐ এলাকার সুধিজন বরুন মন্ডল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি আবেদন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাইমারীর স্কুলের পশ্চিম পাশে একটি গেইট রেখে চর্তুদিকে প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তর পাশ্বে ২য় শ্রেনীতে পড়ুয়া শিশু শ্রুতি পরিবারে যাতায়াতের ৩ফুট জায়গা রাখা হয়েছে। সেখানে পূর্বে বসবাস করা দিলীপ সরকারের পূর্ব দুয়ারী ঘরের পিছনে ৩ফুট জায়গায় তার কয়েকটি বড় বড় গাছসহ ইটের কণা বুঝাই কয়েকটি বস্তা ফেলানো রয়েছে। যাতে করে ঐ ছাত্রী স্কুলে যাতায়াতসহ পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে এবং পূর্ব ও দক্ষিন পাশে হাইস্কুলের পুকুর পাড়ের হাটাচলার রাস্তায় প্রাচীর নির্মানের ফলে পূর্ব পাশে বসবাস করা শ্রীকৃষ্ণ মন্ডল পরিবারসহ ৬০টি পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব পাশের স্কুলে ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় ৫শতাধিক লোক প্রাচীরের দক্ষিন পার্শ্ব দিয়ে এসে পশ্চিম দিক দিয়ে যাতায়াতকারীরা মুল রাস্তায় প্রবেশ করতো। পূর্ব পাশের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে থাকা একমাত্র গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। অথচ দক্ষিন পাশের রাস্তা পুরোটাই বন্ধ করে পশ্চিম পার্শ্বে নিমাই মন্ডল পরিবারের বাড়ী সংলগ্ন স্কুলের ১৫ফুট জায়গা খালি রেখে প্রাচীর নির্মান করা হয়।
অভিযুক্ত দিলিপ সরকার বলেন, এখানে সীমানা নিয়ে জটিলতা আছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি দেয়াল একটু সরিয়ে উঠাতে। তারা যদি না উঠায় তাহলে ঐ পরিবারের যাতায়াতের অসুবিধা হলে পরে আমি গাছ কেটে দিব।
পূর্ব হাসাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর বলেন, স্কুলের দেয়াল নির্মান করার পূর্বে সরকারী তদন্ত টিম এসে পরিদর্শন করে গেছে সেই অনুযায়ী দেয়াল নির্মান করা হচ্ছে।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আলামিন বলেন, আমরা দিলিপকে গাছ কাটার কথা বলেছি। না কাটলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে।
এব্যাপারে হাসাড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমান খান বলেন, ভুক্তভোগী ঐ পরিবাররা আমার কাছে একটি দরখাস্ত নিয়ে আসছিল আমি রি-কমান্ড করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পাঠিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন বলেন, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।