এস এম রাফি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:৪৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
শ্রেনী কক্ষে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় মোমবাতি জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার একটি ছবি ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম মিজান সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে ছবি টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উপজেলা জূড়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
গতকাল রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী সরকারি কলেজে।
চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় অনুষ্ঠিত সমাজবিজ্ঞান পরিক্ষায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে পরিক্ষার শ্রেনীকক্ষ গুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তবে সেসময় বিদ্যুৎ থাকলেও শ্রেনী কক্ষ গুলোতে সংযোগ না থাকায় পরিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে মোমবাতি কিনে এনে তা জ্বালিয়ে পরিক্ষায় অংশ নেন। এতে বেগ পেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
ওই দিন বিকেলে আবার অনুষ্ঠিত হয়েছে স্নাতক (ডিগ্রি) এর দর্শন বিষয়ে পরিক্ষা।
এদিকে ছবিটি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে চিলমারী সরকারি কলেজের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে।
অভিযোগ ওঠেছে, কলেজটির পরিবেশ বেহাল অবস্থা। শ্রেনীকক্ষে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, পড়ালেখার মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
অনেকেই বলছেন, পরিক্ষার আগে ফরম ফিলাপের সময় বরাবরই নেয়া হয় অতিরিক্ত অর্থ। আর পরিক্ষার সময় তো কেন্দ্র ফিও প্রদান করা থাকে। তাহলে পরিক্ষার সময় কেনো সঠিক পরিবেশ থাকবে না। এছাড়াও কলেজটিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীর উপস্থিত নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
পরিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রের আর রুমের অবস্থা বড়ই নাজুক, পরিবেশ স্যাত স্যাতে, নেই আলোর ব্যবস্থা, চারদিকে দুর্গন্ধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার হলের অবস্থা খুব খারাপ, নোংড়া পরিবশে এবং আলোর ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে মোমবাতী জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
১০৩ নম্বর রুমের এক পরীক্ষার্থী বলেন, এতো খারাপ পরিবেশে সাথে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, আজ এই ডিজিটাল যুগে এভাবে কেউ পরীক্ষা দেয়। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেও পরিবেশ আর অন্ধকারের কারনে সবকিছু এলামেলো হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং চিলমারী পড়ালেখার মান ভেস্তে দিতে কিছু কিছু শিক্ষক অনিয়মের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। এমন মন্তব্য করেন ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম মিজান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি কলেজ এবং একটি কেন্দ্রের এই দুর্ব্যবস্থা হলে আমাদের এলাকার শিক্ষার মান কি ভাবে বাড়বে। এছাড়াও উপবৃত্তির টাকা নিয়েও একটা ঝামেলা আছে ওই কলেজে। বিষয়গুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে খতিয়ে দেখবেন।
চিলমারী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কবিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।