এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:২৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আমন ও বোরো ধান চাষের মাঝামাঝি অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার ব্যাপক সম্ভাবণায় বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের প্রণোদনার বীজ ও সার দিয়ে জমিতে বোপণ করা সরিষা মাস খানেকের মাথায় কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করবে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও আশানুরুপ হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬শত ০৯ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী অর্জিত হয়ছে ১হাজার ৬শত ১০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ থেকে বারী-১৪,১৫,১৭ এই তিন জাতের বীজের দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
সরিষা চাষি উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন বলেন, আমন ধান কাটার পর এক বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের দেয়া প্রণোদনার বারী-১৪ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেছেন, তার এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা ফলন হবে, যার মনপ্রতি বাজার মূল্য ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা। সরিষার ঘরে তুলে একই জমিতে তিনি বোরো ধান রোপন করবেন।
পাত্রখাতা এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি অল্প সময়ের মধ্যে সরিষা চাষ করা হয়, এতে করে একই জমিতে তিনটি ফসল ঘরে উঠে এবং বাড়তি আয়ের মুখ দেখা যায়। এই অল্প সময়ে সরিষা চাষে বাড়তি আয়ে সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে । আমরা কৃষি অফিসের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি এবার সরিষার চাষে আশানুরূপ ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, এই বছর ১হাজার ৬শত ০৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার মধ্যে, অর্জিত হয়েছে ১হাজার ৬শত ১০ হেক্টর জমিতে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে ২ হাজার ১শত কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করেছি। আশা করছি এবার সরিষার ফলন ভালো হবে এবং কৃষকরা লাভের মুখ দেখবে। আগামীতে সরিষা চাষ এই উপজেলায় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।