রাজনীতি

১০ দাবিতে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

  এস এম রাফি ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:২৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আজ বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শেখ মুজিবুর রহমান সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দেশে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিল। ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছেন। এদেশের জনগণের আন্দোলনের সামনে আইয়ূবশাহী টেকেনি, হাসিনাশাহীও টিকবে না। সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না।’

জোটের সহকারী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবার পথ ধরেই জনগণের নাগরিক ও ভোটাধিকার হরণ করেছে। অবৈধ সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ভোট ডাকাত সরকারের পতন এখন অনিবার্য হয়ে উঠছে। জনগণ রাজপথে নেমেে এসেছে। সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি আজিজুল হাই সোহাগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি পীরজাদা ওমর ফারুক, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন মৃধা, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চের সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন বেগ, জাতীয়তাবাদী চালক দল সভাপতি মো. শাহজাহান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সভাপতি আনসার রহমান সিকদার, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসির সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান সবুজ, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি শেখ আলিম উল্লাহ আলিম, দেশরক্ষা মানুষ বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি আজিজা সুলতানা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. ওমর ফারুক সেলিমসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।